
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর দিনাজপুর: এক সিপিএম নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার পাতনোর এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ রফিক (৫৯)। তাঁর বাড়ি ডালখোলা থানার রহতপুর এলাকায়।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে উত্তর পাতনোর এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের পিছনে ভুট্টাক্ষেতের পাশে রফিকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে আসে ডালখোলা থানার পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, রফিকের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ একটা ফোন পেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রফিক। রাতে আর ফেরেননি। অনেক খোঁজ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তারপরে আজ সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিকল্পনা করেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
স্থানীয় সিপিএম নেতা আশিস ঘোষ জানিয়েছেন, “রফিকের কোনও শত্রু ছিল না। কে বা কারা ওকে মারল সেটা বুঝতে পারছি না। প্রকৃত খুনিকে ধরার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি আমরা। পুলিশ ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে।”
উত্তর দিনাজপুরের সিপিএম জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের দাবি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে রফিককে। রাজ্যে এখন আর আইনের শাসন নেই। শাসক দল সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি করেছে বলেই অভিযোগ তাঁর।
অবশ্য এই অভিযোগের পরে করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক মনোদেব সিনহা জানিয়েছেন, “এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়। কারণ দুষ্কৃতীদের কোনও দল হয় না। আমরা পুলিশকে বলেছি নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য। তবেই প্রকৃত খুনি ধরা পড়বে।” সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তর দিনাজপুরের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।