
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একুশের ভোট দোরগোড়ায়। লোকসভার পরেই তৃণমূল প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক চুক্তি করেছে। শীত পড়ার আগেই বিজেপি ডিজিটাল প্রচারে হিল্লোল তোলার জন্য অমিত মালব্যকে দিল্লি থেকে বাংলায় পাঠিয়ে দিয়েছে। রাজনীতির ডিজিটাল যুদ্ধ যখন এমনই সরগরম তখন পাল্লা দিতে মরিয়া বঙ্গ সিপিএমও।
সন্দেহ নেই ডিজিটাল প্রচারে অর্থ একটা বড় ব্যাপার। এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল প্রচারের জন্য তহবিল গড়ে নামতে চাইছে সিপিএম।
বাংলা সিপিএমের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে মুক্ত হস্তে দান করার আবেদন জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়। দলীয় সদস্যদের থেকে তিন দিনের আয় নিচ্ছে সিপিএম। এমনিতে সিপিএমের সদস্যপদ রাখতে গেলে লেভি দিতে হয় দলকে। মাসিক আয়ের কত শতাংশ পার্টিকে দিতে হবে তা গঠনতন্ত্রে স্ল্যাব করে লেখা রয়েছে।
নির্বাচনের সময়ে একদিনের আয় নেওয়া সিপিএমের রুটিন। সরকারে থাকার সময়েও এই টাকা নিত সিপিএম। আপাতত দলীয় স্তরে বলা হচ্ছে নিউজ পোর্টাল করার জন্য এই অর্থ নেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অদূরেই নোনাপুকুরে একটি অফিস ভাড়া নিয়েছ সিপিএম। সেখানে অন্তত ২৫-৩০ জনকে ওয়েজ দিয়ে রাখা হয়েছে। যাঁদের মূলতই ছাত্র-যুব ফ্রন্টের কর্মী। কিন্তু তাঁরা দলীয় হোলটাইমার নন।
অগস্ট, অক্টোবর এবং ডিসেম্বর– এক মাস ছাড়া এই তিন মাসের এক দিনের আয় দলীয় সদস্যদের থেকে চেয়েছে সিপিএম। লকডাউনে যাঁরা কাজ হারিয়েছেন তেমন দলীয় সদস্য যদি আবেদন করেন তাহলে তা মুকুব করার কথা বলা হয়েছে পার্টি সার্কুলারে। জানা যাচ্ছে দলীয় সদস্যদের থেকে শুধু এই তিন দিনের আয় সংগ্রহ করেই অন্তত ৫০ কোটি টাকা তুলতে চলেছে সিপিএম।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সরকার থেকে চলে যাওয়ার পর সিপিএমের ভাঁড়ে মা ভবানী দশা। অন্যদিকে সদস্য সংখ্যাও প্রতিবছর কমছে। এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল প্রচারে তৃণমূল-বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিতে এই কৌশল নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
এক যুব নেতার কথায়, “২০১১-র ভোটে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহারের কথা বলে সংগঠনের মধ্যে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল। নেতাদের সে কী ধমক! কিন্তু এখন সেই পথেই হাঁটতে হচ্ছে। আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে, নেতারা বোঝেন। কিন্তু বড্ড দেরিতে।”