
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার আর্থিক কেলেঙ্কারি কাণ্ডে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কুঁওরদীপ সিংকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার পরই তৃণমূলের আর এক প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেছেন, “কেডি সিংকে তৃণমূলে কে এনেছিলেন? মুকুল রায়। আমি বলছি, মুকুল রায়কে আগে গ্রেফতার করা উচিত”।
কুণালের এই প্রতিক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। জবাবে তিনি বলেন, “মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী যতদিন তৃণমূলে ছিলেন, তখন ওঁদের কাছে ছিলেন বিশিষ্ট নেতা, নীতি নির্ধারক। আর বিজেপিতে যোগ দিলেই বিশ্বাসঘাতক, দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে গেলেন! মানুষ কি এতই বোকা!”
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিন বছর হয়েছে। শুভেন্দু গেরুয়া শিবিরে এসেছেন মাত্র তিন সপ্তাহ হল। ষোলো সালের ভোটের সময়েও মুকুল রায়ের কী ভূমিকা ছিল তা অনেকেই জানেন। আর শুভেন্দু দল ছাড়ার আগে অন্তত এক টানা প্রায় ১৫ দিন তৃণমূলের মুখপাত্ররা বলে গেছেন, উনি দলের বিশিষ্ট নেতা, সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির সদস্য এবং মন্ত্রিসভার তিনটি দফতরের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।
কিন্তু শুভেন্দু দল ছাড়তেই তৃণমূলের ত্রয়ী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ ও সৌগত রায় এক সঙ্গে তাঁর সমালোচনায় নামেন। সৌগত রায় তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলেন তো কল্যাণ, কুণালরা তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। যেমন বুধবারও কুণাল চিটফান্ড কাণ্ডে শুভেন্দুর নামও জড়াতে চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কুণাল নিজেও চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত। এক সময়ে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। জামিন পাওয়ার পরেও দীর্ঘদিন তৃণমূলের অনেকেই তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন না, পাছে দলের উপরতলায় খবর চলে যায়।
সে যাক। তৃণমূলের এই স্ববিরোধিতা নিয়েই এদিন প্রশ্ন তুলতে চেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সায়ন্তন বসুদের কথায়, শুভেন্দু সম্পর্কে এতকিছু জানার পরেও তাঁকে দলে ধরে রাখতে সৌগত রায়দের ছোটাছুটিও মানুষ দেখেছে। কী ভাবে চার মাথা এক হয়ে ঘিরে ধরেছিলেন তাঁকে, তার পর কে স্পিকার ফোনে কথা বলে অনুরোধ করেছিলেন, তাও ওঁদের থেকেই শুনেছে মানুষ। তৃণমূলের আর বিশ্বাসযোগ্যতাই অবশিষ্ট নেই।