
প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
সোমবার শিলিগুড়িতে হাকিমপাড়া গার্লস স্কুল, নেতাজি গার্লস স্কুল ও ঘোগামালি স্কুলে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এইসব স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্ত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বললেন, যারা অভিযুক্ত তাদের ৩ থেকে ৪ বছর কোনও স্কুলে ভর্তি নেওয়া হবে না।
সোমবার শিলিগুড়িতে হাকিমপাড়া গার্লস স্কুল, নেতাজি গার্লস স্কুল ও ঘোগামালি স্কুলে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এইসব স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরীক্ষার্থীরা ভাল করে পরীক্ষা দিচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ নেন তিনি। কথা বলেন অভিভাবকদের সঙ্গেও। কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা তার খোঁজ নেন।
সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রীকে সামনে পেয়ে কিছু অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। তার মধ্যে এই প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত অভিযোগও ছিল। সেইসব শুনে তাঁদের আশ্বস্ত করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, কোনওভাবেই এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিভাবকদের নিশ্চিন্ত থাকার পরামর্শ দেন পার্থবাবু।
পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দু’একটি ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছিল। তার তদন্ত শুরু হয়েছে। আটকও করা হয়েছে। তবে কোনও ক্ষেত্রেই কেউ ছাড় পাবে না। আমরা কড়া ব্যবস্থা নিয়ে বিষয়টিকে দৃষ্টান্ত করে রাখতে চাইছি, যাতে পরবর্তীতে কেউ এই ধরনের কাজ করতে সাহস না পায়। তাই শাস্তি হিসেবে অভিযুক্তদের ৩ থেকে ৪ বছর শিক্ষার বাইরে রাখতে চাইছি। অর্থাৎ অভিযুক্ত পড়ুয়াদের ৩ থেকে ৪ বছর কোনও জায়গায় ভর্তি নেওয়া হবে না।”
প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এবার আগে থেকেই তৎপর হয়েছিল শিক্ষা দফতর। গতবার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল এমন ৪২টি ব্লকে পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও বাংলা, ইংরেজি ও ভূগোল পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে। মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা প্রভৃতি জেলায় এই অভিযোগ পাওয়া যায়।
মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মালদহের চাঁচোল মহকুমার বৈদ্যনাথপুর হাইস্কুলে এক ছাত্রকে আটক করা হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে ফোন নিয়ে ঢুকে প্রশ্নের ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। তৃতীয় দিনেও পরীক্ষা কেন্দ্রে ফোন নিয়ে ঢোকার অভিযোগে তিন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। কিন্তু তারপরেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উপর গাফিলতির অভিযোগ উঠছিল। এবার তাই অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর।