
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একেই বলে কপাল! একেবারে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা!
শুঁড়ে পেঁচিয়ে যুবককে প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা নিয়ে গেল বুনো হাতি। তারপর রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে দুলকি চালে চলে গেল জঙ্গলে। গোটা গ্রামের মানুষ যখন আতঙ্কের প্রহর গুনছে। শেষমেশ হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন তাঁরা।
শনিবার রাতে কিলকট চা বাগানের মূর্তি লাইনে হানা দেয় একটি দলছুট বুনো হাতি। সেই হাতি তাড়াতে স্থানীয়দের সঙ্গেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বছর ১৮-র সুনীল মুন্ডা। তিনি হাতিটির সামনে পড়ে যান। এরপর তাঁকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে নিয়ে সোজা চলে যেতে থাকে।
হতবাক হয়ে যান সকলে। প্রায় ১০০ মিটার যাওয়ার পর হাতিটি ওই যুবককে রাস্তার পাশে শুইয়ে দিয়ে চলে যায় জঙ্গলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন খুনিয়া রেঞ্জের কর্মীরা। তাঁরা ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যান মাল হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
ঘটনায় আহত সুনীল মুন্ডা বলেন, ” আমি বড়াত জোরে বেঁচে গেলাম।” তাঁর কথায়, “যখন আমায় শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিয়ে তখন তো ভাবতে তখন তো ভাবতেও পারিনি বাঁচব।”
ঘটনায় খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার লায়েক টেলিফোনে জানান, “গত এক বছরের ব্যবধানে দুটি একই ধরনের ঘটনা। এই ধরনের ঘটনা প্রমান করে বন্যপ্রাণীদেরও মানবিকতা আছে। কিন্তু আমরা বন্যপ্রাণী লোকালয়ে ঢুকলে মারমুখী হয়ে তাকে তাড়াতে ব্যস্ত হয়ে যাই। যা কখনওই কাম্য নয়। আমাদের আরও সহনশীল হতে হবে।”
এক বছর আগে খেরকাটা চা বাগানে একই ঘটনা ঘটেছিল। একটি শিশুকে ঘর থেকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে এনে উঠনে শুইয়ে দিয়ে গেছিল একটি হাতি।