
আনিসুর কি তৃণমূলে? ভোট ঘোষণার পর হঠাৎই খুনের মামলা তুলে নিল নবান্ন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তৃণমূল নেতা কুরবান শাহ খুনের মামলায় পাঁশকুড়ার আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনি এখনও জেলবন্দি। হঠাৎই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। যা নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হল রাজ্য রাজনীতিতে—আনিসুর কি এবার তৃণমূলে? জেল থেকে ছাড়া পেলে তিনি কি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন!
উনিশ সালে দুর্গাপুজোয় নবমীর রাতে খুন হয়েছিলেন পাঁশকুড়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি কুরবান শাহ। ওই মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছিল বিজেপি নেতা আনিসুরের নাম। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিন্তু সেই আনিসুরের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সহানুভূতিশীল তা এক প্রকার স্পষ্ট হয়ে যায় সম্প্রতি। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর তেখালিতে সভা করেছিলেন মমতা। সেই সভায় তিনি বলেছিলেন, “আনিসুরকে অত্যাচার করে জেলে রেখে দিয়েছে”। ফলে এখন নবান্ন মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় অনেকেই দুয়ে দুয়ে চার করতে চাইছেন। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, ‘আনিসুরের উপর অত্যাচার করে জেলে রেখে দিয়েছে’ বলে মমতা হয়তো শুভেন্দুকেই উদ্দেশ করতে চাইছিলেন। এ বার সেই আনিসুরকে তৃণমূল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কাজে লাগালে বিষ্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না।
নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের সময়ে মমতাকে আনিসুর রহমানের বাইকে চড়তে দেখা গিয়েছিল। তেখালির সভাতেও মমতা বলেছিলেন, ‘সেদিন ওরা কিছুতেই আমাকে নন্দীগ্রামে যেতে দিচ্ছিল না। আমি তখন আমার এক সহকর্মীকেই বলি তোর বাইক বা স্কুটার আছে? পাঁশকুড়ার ছেলে আনিসুর..’
এখন প্রশ্ন হল, ভোট ঘোষণার পর রাজ্য সরকার কি কোনও বন্দীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে পারে? এ ব্যাপারে বিজেপি অবশ্য এদিন স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। বিজেপির পক্ষে তা বলাও মুশকিল। কারণ, তৃণমূলের সঙ্গে বনিবনার অভাবে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন আনিসুর। তবে সূত্রের মতে, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হতে পারে।