
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিষ্যুদবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানা ছিল এক দিকেই। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তারপর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা বলেছেন তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজ্যপাল।
এদিন কল্যাণের সাংবাদিক বৈঠকের বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে জগদীপ ধনকড় বলেন, “রাজ্যে আইনের শাসন বলে কিচ্ছু নেই। আমি তো আর চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আমি সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ। যা বলার বা করার সংবিধান মেনেই করব।”,
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ শানান শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন এগিয়ে আসছেন রাজ্যপাল? তদন্তে বাধা দেওয়ার কেন চেষ্টা করছেন? বাংলায় অনেক ক্রিমিনাল আছে যাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে রাজ্যপালের। এর আগেও আমি এই অভিযোগ করেছি। যাঁরা এই কাজ করেছেন, সংবিধানের ১৮৬ ও ১৮৯ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”
এখানেই থামেননি কল্যাণবাবু। তিনি আরও বলেন, “কোনও সাংবিধানিক প্রতিনিধি যদি তাঁর পদে বসে এমন কোনও কাজ করেন যা বেআইনি তার জন্য ক্রিমিনাল প্রসিডিওর করার জন্য অনুমতি নিতে হয় না। আমি কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ১৮৬,১৮৯ ধারায় ক্রিমিনাল কেস করার জন্য।”
সম্প্রতি গোবিন্দ আগরওয়াল নামের ডালহৌসিরর এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ, নোটবন্দির সময়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতেন তিনি। কলকাতা পুলিশের আরও বক্তব্য গোবিন্দ আগরওয়াল আসলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টই নন।
পরের দিন রাজ্যপাল টুইট করে লেখেন মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে গোবিন্দকে। সেই সূত্রেই এদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্রিমিনালদের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগ তোলে তৃণমূল। কল্যাণের অভিযোগ, রোজভ্যালি কাণ্ডে অভিযুক্ত সুদীপ্ত রায় চৌধুরীর সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে এই ভুয়ো চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টের।
যদিও রাজ্যপাল স্পষ্ট বোঝাতে চেয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের জমানায় বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই। পুলিশ দলদাসের ভূমিকা পালন করছে।
যা দেখে অনেকেই বলছেন, এতদিন নবান্ন বনাম রাজভবন চলছিল। একুশের ভোটের পাঁচ মাস আগে কার্যত তৃণমূল বনাম রাজভবন মুখোমুখি সংঘাত শুরু হয়ে গেল।