
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা রুজু করছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের এই মামলার রায় ঘোষণায় এদিন আদালত জানাল, রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সব রকমের পদক্ষেপ নেবে কমিশন এমনটাই আশা তাদের।
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানায়, তাঁরা আশাবাদী যে নির্বাচন কমিশন কড়া হাতে সবটা নিয়ন্ত্রণ করবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সব রকমের পদক্ষেপ নেবে। যাঁরা এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কমিশন তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে বলেও তাঁরা আশাবাদী।
ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তার জন্য তাঁদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তারা যে দক্ষতার সঙ্গে বিষয়টি সামলাবেন সে বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
ফেব্রুয়ারির গোড়া থেকেই অবশ্য দামামা বেজে গিয়েছিল ভোটের। মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর তোড়জোর শুরু হয়৷ ইতিমধ্যে রাজ্যে বেশ কয়েক কোম্পানি বাহিনী এসে গিয়েছে৷ পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, কলকাতা- সহ একাধিক জেলায় টহল শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷
সূত্রের খবর, অন্যান্য বারের ভোটের চেয়ে এবারের ভোটে নিরাপত্তার ফাঁস থাকবে অনেক বেশি। বিশেষ করে বাংলায় যাতে অবাধ ও নিরাপদ ভোট হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেবে কমিশন। সেই কারণেই প্রচুর সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এখন দেখার হাইকোর্টের আশা ভোটের ময়দানে বাস্তবে পরিণত হয় কিনা।