
দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ করোনা সংক্রমণের মধ্যে দুর্গাপুজোর অনুমতি নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের মামলার রায়দান রয়েছে আজ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই এই বিষয়ে রায়দান করবেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। এই সংক্রমণের মধ্যে প্রতিটি মণ্ডপকে কন্টেইনমেন্ট জোন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে দর্শনার্থীদের মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথাও বলা হয়েছে আদালতের পর্যবেক্ষণে।
এদিনের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, সরকারের তরফে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে তাতে সদিচ্ছা থাকলেও তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। পুজোর আগেই ভিড় দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। কী ভাবে এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্যসচিবের কাছে পরামর্শ চাইলেও তা আসেনি বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি।
নিজের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রতিটি মণ্ডপ কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হোক। তাহলে সেখানে ভিড় কম রাখার নির্দেশ দেওয়া যাবে। দর্শনার্থীদের মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। শুধুমাত্র তালিকায় যে উদ্যোক্তাদের নাম থাকবে তাঁদেরই মণ্ডপে প্রবেশের অধিকার থাকবে। কারণ ২ থেকে ৩ লাখ লোকের ভিড় সামলাতে মাত্র ৩০ হাজার পুলিশ রয়েছে। সেটা সম্ভব নয়। সরকারের আরও বেশি সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। যদিও এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, আরও পুলিশ বাড়ানো হবে।
পুজোর প্রসঙ্গে স্কুল ছুটি ও মহারাষ্ট্রের গণপতি পুজোর প্রসঙ্গও নিজেদের পর্যবেক্ষণে নিয়ে এসেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এই সময় স্কুল বন্ধ। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। তাহলে কী ভাবে পুজোর অনুমতি দেওয়া হল। এবার মহারাষ্ট্রে গণপতি পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাহলে রাজ্যে কী ভাবে এই পরিস্থিতিতে পুজোর অনুমতি দেওয়া হল সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই এই মামলার রায় দান। এখন দেখার রায় দানে কী বলে হাইকোর্ট।