
দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ মুর্শিদাবাদ থেকে আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের জেরা করে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। জেরার মুখে নাকি তাদের ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গি দলের সঙ্গে যোগের কথাও উঠে এসেছে। এমনকি উঠে এসেছে বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি যোগের কথাও। ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে এনআইএ সূত্রে খবর।
কিছুদিন আগে আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। একই দিনে কেরল থেকে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরও বাড়ি মুর্শিদাবাদে। তাদেরই জেরা করে এই নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
এনআইএ সূত্রে খবর, ২০১৯ সালের জুন মাসে হাওড়ার উলুবেড়িয়া থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। এই চারজনই বীরভূমের বাসিন্দা। তাদের নাম রবিউল ইসলাম, আল মামুন, আল আমিন ও মহসিন। তাদের জেরা করে জানা যায় তারা জামাতের শাখা সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য। বাংলাদেশ থেকে এই জঙ্গিদের নির্দেশ দেওয়া হত। উলুবেড়িয়াতে একটা ছোটখাটো মডিউল বানিয়ে ফেলেছিল তারা। আইএসের জন্য প্রায় ৩৭ জনকে রিক্রুট করেছিল তারা। আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতার জন্য এই জামাত গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে বলেই খবর।
জেরায় নাকি জানা গিয়েছে, সেই সময় যে ৩৭ জনকে রিক্রুট করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিল মোশারফ হোসেন, মুর্শিদ হাসান আবু সুফিয়ান ও আতাউর রহমান নামের কয়েকজন যুবক। তাদের উত্তরপ্রদেশ বা কেরলের কোনও জঙ্গলে ট্রেনিং দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এই নব্য জামাতের মাধ্যমেই আইএসের ভাবধারাকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা, এমনটাই জেরায় জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এই নব্য জেএমবি জঙ্গিরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। যে ৯ জঙ্গিকে সম্প্রতি ধরা হয়েছে তাদের মোবাইলে এই সংক্রান্ত নানা পিডিএফ ফাইল পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর অনেক বই ও ম্যাগাজিন পাওয়া গিয়েছে। তারপরেই এই আইএস যোগের অনেক তথ্য উঠে আসছে এনআইএর সামনে।