
সবুরে জিতেন্দ্র বিজেপিতে? বৈদ্যবাটিতে দিলীপ-রাজীবের সভায় চমকের অপেক্ষা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার সকালেই রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেছিলেন, আজ বৈদ্যবাটির সভায় চোখ রাখুন। চমক থাকতে পারে!
এদিন শ্রীরামপুরে পরিবর্তন যাত্রা ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের। ওই সভার পর বিকেলে দিলীপবাবু ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যৌথ সভা করার কথা। সূত্রের খবর, সেই সভাতেই যোগ দিতে পারেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
গত ১৯ ডিসেম্বরই জিতেন্দ্রর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। ঠিক ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই তিনি পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন। কিন্তু জিতেন্দ্রকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে তখন আপত্তি করেন বাবুল সুপ্রিয়। এ ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন সায়ন্তন বসু ও দলের মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পালও। ফলে তখনকার মতো জিতেন্দ্রকে বিজেপিতে সামিল করার প্রক্রিয়া থমকে যায়। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সায়ন্তন ও অগ্নিমিত্রাকে শো’কজ করে পার্টি। তার থেকেই একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। মানে অটলবিহারী বাজপেয়ী যেমন বলতেন—ঠাণ্ডা করকে খাও। অর্থাৎ যখন কোনও বিষয় নিয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হবে, তখন তা ফেলে রাখো। পরে ঠাণ্ডা হলে যা করার ছিল সেটাই করতে পারো।
বিজেপিও তাই করল। জিতেন্দ্রকে নিয়ে বিতর্ক এখন থেমে গেছে। এ বার তাঁকে দলে সামিল করতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ।
এমনিতেই পশ্চিম বর্ধমানে বিজেপি আগের তুলনায় এখন বেশ শক্তিশালী। জিতেন্দ্র বিজেপিতে গেলে তৃণমূল সেখানে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে। বস্তুত সেই কারণেই জিতেন্দ্রকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
জিতেন্দ্রর যোগদানের বিষয়ে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “উনি আসানসোলের একজন বড় নেতা। ফিরহাদ হাকিম বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চিঠি লিখে যে অভিযোগ উনি জানিয়েছিলেন তা খুবই সাহসী পদক্ষেপ ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই ওনার সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল। সব বৈরিতা ভুলে মোদীজির আদর্শে একসঙ্গে কাজ করতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। ওনাকে স্বাগত জানাই।”