
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নেতাদের তৃণমূল ভবনে বৈঠকে ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে জেলার শীর্ষ নেতাদের কোন্দল ভুলে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন দিদি।
জানা গিয়েছে এদিনের বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, পার্টির স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে গোষ্ঠী কোন্দল, ঝামেলা ভুলে গিয়ে এক হয়ে কাজ করতে হবে। মুর্শিদাবাদে ২২টি আসন রয়েছে। দিদির ডাক, ২২-০ করতে হবে একুশের ভোটে।
সেইসঙ্গে দল পরিচালনায় একটি কোর কমিটির গড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তৃণমূল সূত্রে খবর, তাতে রাখা হয়েছে, সুব্রত সাহা, খলিলুর রহমান, আবু তাহের, জাকির হোসেন ও মইনুল হাসান। খলিলুর রহমানকে কনভেনর করা হয়েছে। এই কোর কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে।
লোকসভায় উত্তরবঙ্গে খারাপ ফল হয়েছিল তৃণমূলের। কিন্তু উত্তরবঙ্গ আর দক্ষিণবঙ্গের সংযোগকারী নবাবের জেলায় তৃণমূলের ফল হয়েছিল ঐতিহাসিক। জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল কখনও লোকসভা আসন জেতেনি। এবার মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর আসনে জোড়াফুল ফুটেছিল।

অনেকে বলেন, এই জয়ে অন্যতম বড় অবদান ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কারণ তিনিই ছিলেন পর্যবেক্ষক। তাঁদের মতে, পড়ে থেকে বুথ স্তরের সংগঠন গড়েছিলেন শুভেন্দু। যার ফল লোকসভায় দেখা গেছিল।
পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পর হয়তো তাই মুর্শিদাবাদকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দৌত্য শুরু করল শাসকদল। তা ছাড়া বাম-কংগ্রেস জোটেরও সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে মুর্শিদাবাদে। ভুলে গেলে চলবে না মুর্শিদাবাদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীর নিজের জেলা।বিধানসভা ভোটের আগে সেটাও হয়তো মাথায় রয়েছে তৃণমূলের।
পর্যবেক্ষক প্রথা উঠিয়ে দেওয়া তুলে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলে। তবে ইদানিং দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু জেলার দায়িত্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাসদের দায়িত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। যদিও পর্যবেক্ষ কথাটা বলা হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রেও দেখা গেল ববি হাকিমকে কোর কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে।