
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুরুলিয়ায় জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তৃতার লাইভ হাইলাইটস—
- আমি শতাব্দীর কথায় মোহিত। খুব রাজনৈতিক কথা বলছিল।
- আমি পুরুলিয়া নিয়ে বিশেষ জানতাম না। আজ সকালে একটা বই পড়ছিলাম। জানলাম পুরুলিয়ায় ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। পুরুলিয়াতে একটা ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তা নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছিল।
- আমি নিজে কুরমালি ভাষা জানি। কুড়ুক ভাষা জানি। আমরা অলচিকি ভাষাকে শুধু স্বীকৃতি দিয়েছি তা নয়, আদিবাসীদের ভাষা আকাডেমিও তৈরি করেছি।
- আমরা আইন করেছি আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া যাবে না।
- কুম্ভকর বাগদি, বাউড়ি এদের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। বাউড়ি সংস্কৃতি বোর্ড তৈরি করেছি। অলচিকি অভিধান তৈরি করেছি।
- বিজেপি নেতারা ভুলভাল বুঝিয়ে ভোট নিয়ে পালিয়ে গেছে দিল্লি। যাঁকে লোকসভায় ভোট দিয়েছিলেন, কোনও উন্নয়ন করেছেন? কোভিডের সময় তাকিয়ে দেখেছে?
- নির্বাচনের আগে মণ্ডামিঠাই খাওয়াবে। নির্বাচনের পর কাঁচাকলা খাওয়াবে।
- বাংলায় যত না আছে, তার থেকে বেশি মিডিয়া ফুলিয়ে ফাপিয়ে দেখাবে।
- অমিত শাহর কথায় সার্ভে পাল্টে দিল। বলেছে, না এটা বলতে পারবে না। তোমরা বলো তৃণমূল পাবে ১৫৮, বিজেপি পাবে ৯২। কীসের সংবাদমাধ্যম, কী ব্যবসা? ক্ষমতা আছে পুলওয়ামা নিয়ে বলার কথা। ক্ষমতা আছে দাঙ্গা নিয়ে বলার।
- যখনই সংবাদমাধ্যম দেখাবে তৃণমূল কম পাবে, জেনে রাখবেন যা বলবে তার চার ডবল আসন পাবে তৃণমূল।
শুধু বিজেপি চমকাতে পারে, আমরা চমকাই না তাই। শুধু বিজেপি ইনকাম ট্যাক্সের ভয় দেখায়, আর আমাদের ইনকাম ট্যাক্স নেই তাই? - বিজেপি ফেক ভিডিও ছাড়ে। সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছে। সেগুলো একদম বিশ্বাস করবে না।
- বিজেপি এলে পুরুলিয়া থাকবে না, রূপসী বাংলা থাকবে না। আবার মাওবাদীরা এসে…। মাওবাদীদের থেকে বিজেপি আরও ভয়ঙ্কর।
- বিজেপি যেখানে ঢুকবে, বাঁশ হয়ে ঢুকবে আর ফালি হয়ে বেরোবে। যদি বলেন, কোনটা বিষাক্ত সাপ কোবরা না কেউটে। এক ছোবলেই শেষ তার নাম বিজেপি। যাকে ধরল, তাকে খেয়ে নিল, চলে গেল।
- ভোট এলে বাংলার কথা মনে পড়ে। বলে বোঙ্গাল, ভোটের জন্য কাঙ্গাল। পুরুলিয়া জানে, না অযোধ্যা জানে, না ঝালদা জানে? কী জানে, কিস্যু জানে না।
- মমতার সভায় লোক আসেনা? কে শিখিয়ে দিয়েছে? দিল্লি?
- সায়নী বলে একটা মেয়ে, তাকে বিজেপি ধমকাচ্ছে। কেন? এতো বড় ক্ষমতা! তুমি উত্তরপ্রদেশে ধমকাও, বিহারে ধমকাও, বাংলাতে ধমকানোর আশা রাখো কোথা থেকে? বাংলায় ধমকালে মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দেবে মানুষ। ক্ষমতা থাকে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাও, ক্ষমতা থাকলে টলিউডের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও। ক্ষমতা থাকলে সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও।
- বয়স হয়ে গেছে তবুও ভিমরতি যায় না। নাতনির বয়সী মেয়ে, তাঁকে প্রতিদিন থ্রেট করছে। কীসের জন্য, তার কি স্বাধীন ভাবে কথা বলার অধিকার নেই? নিশ্চয়ই আছে।
- এই বসুন তো বসুন, প্রতি জায়গায় চলে আসে দু-চার জন। বক্তব্য থাকলে লিখে আনবেন। মিটিংয়ে গণ্ডগোল করবেন না। আমাকে এখানে বললে একটি কাজও করব না। মিটিং নষ্ট করার অধিকার কে দিচ্ছে। পোষায় আর না। যতই দাও ততই চায়। দেওয়ার সিস্টেম আছে তো। চিঠি লিখুন, চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিন।
- এরা কারা? আমি তো বুঝতেই পারছি না। আইসিডিএস না কি! তোমরা কী এসএলও? এই তোমরা কী প্রাণীমিত্র? তোমাদের দেড় হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। আরে তোমরা তো সাত আটটা লোক মিলে পাবলিক মিটিং ডিস্টার্ব করছ। এ বার কিন্তু মিটিংয়ে ডিস্টার্ব করলে আমি কিন্তু অ্যাকশন নেব।
- অন্য কারও মিটিংয়ে এরকম করতে পারতে? বিজেপি শিখিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমি কিন্তু বিজেপির মিছিলে লোক পাঠিয়ে দেব, সিপিএমের মিছিলে লোক পাঠিয়ে দেব। চালাকি বুঝিয়ে দেব। প্রত্যেকটা মিটিংয়ে এরকম করছে। প্রত্যেকটা মিটিংয়ে এরকম করছে। মেয়েদের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে আর এরকম করছে।
- বাংলায় ৩০ লক্ষ লোককে সিপিএম কী করেছিল? কাউকে দু’শ টাকা কাউকে ৫০ টাকা। আমি তুলে নিয়ে এসে টাকা বাড়ালাম।
আমি চাই পুরুলিয়ায় ঢেলে হোটেল তৈরি হোক, ঢেলে বাজার তৈরি হোক, যাতে এখানকার ছেলেমেয়েদের কাজের জন্য বাইরে যেতে না হয়। - সিপিএম তো নিজেকে বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছে। কংগ্রেসও তাই করেছে।
- কেউ কেউ দেখবেন চলে যাচ্ছে। ভালই হচ্ছে। আপদ বিদেয় হচ্ছে।
- বিজেপির শৃঙ্খলের কারাগার ভেঙে করো চুরমার। কেউ কিছু বললেই তাকে গুলি করে মেরে দেয়, দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়। কীসের দম্ভ, কীসের অহঙ্কার।
- বাংলাকে বেচতে দিও না, বাংলাকে বিক্রি করতে দিও না। বিজেপি চায় বাংলা দখল করে বাংলাকে পরাধীন করতে। যে যায় বিজেপিতে যাক গিয়ে। তাদের মাথাগুলো বিক্রি করে দিক। আমরা বিজেপির কাছে মাথা বিক্রি করব না।
- রোজ রোজ শাড়ি বদলানো যায়। কিন্তু রোজ রোজ নিজের চরিত্র বদল করা যায় না।