
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নেতাজি জয়ন্তীতেও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত? এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতায় যেন সেই বিরোধের সুরই বাঁধা হল!
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ বিকেলে কলকাতায় আসছেন মোদী। তার আগে এদিন সকালে এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবনে যান মমতা। সেখানে তিনি বলেন, “আমি পরাক্রম মানে বুঝিনা। বাংলা না হিন্দি ভাষা তা জানিনা। তবে আমার কাছে উনি দেশপ্রেমিক। দেশনায়ক। যিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমরা চাই দেশ যেন এগিয়ে যাই। নেতাজী এক চিন্তা, আদর্শ, দর্শন।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “কেন আমরা দেশনায়ক দিবস করেছি জানেন? কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম নেতাজিকে দেশনায়ক আখ্যা দিয়েছিলেন। আর রবীন্দ্রনাথের লেখা জনগণমন অধিনায়ক কে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন নেতাজি। আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে, আমি কাঁপছি, আমি বলছি।”
এদিনও ঠারেঠোরে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ আমাদের মুখস্থ। পড়ে এসে বলতে হয় না। নেতাজি প্ল্যানিং কমিশন তৈরি করেছিলেন। নেতাজিকে যদি শ্রদ্ধাই জানাবে তাহলে প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়া হল কেন?”
বিকেলে ন্যাশনাল লাইব্রেরি ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠান রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু সকালে যে ভাবে পরাক্রম দিবস অস্বীকার করলেন তাতে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আদৌ মুখ্যমন্ত্রী যাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থান প্রসঙ্গে আবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেছেন, “পরাক্রম দিবস ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ তার বিরোধিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব কিছুতে বিরোধিতা করা উচিত নয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে ভুল বার্তা যায়।”
নেতাজির বাসভবন থেকে সোজা শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার সেখান থেকে পদযাত্রার আয়োজন করেছে। সেই পদযাত্রায় অংশ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন সহ সরকারের মন্ত্রীরা। সেই সঙ্গে রয়েছেন নুসরত জাহান, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ সাংসদ।