
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গরু ও কয়লা পাচারের অভিযোগে গত মাসাবধি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় চলছে। এই প্রথম তাতে নাম জড়াল শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতার। বিষ্যুদবার সকালে তা নিয়েই টুইট করে খোঁচা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
টুইটে কৈলাস লিখেছেন, বাংলার এক পাওয়ার ব্রোকার বিনয় মিশ্রর ডেরায় সিবিআইয়ের তল্লাশির পর উচ্চ পদাধিকারীদের জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও ভাইপোর শিবিরে থড়হরি পড়ে গেছে। রাজ্যে এটা এখন আলোচনার বিষয়।
बंगाल के एक पॉवर ब्रोकर विनय मिश्रा के यहाँ सीबीआई के छापे के बाद बंगाल के उच्च अधिकारियों की आपातकालीन बैठक और मुख्यमंत्री एवं भाइपो के यहाँ हलचल, प्रदेश में चर्चा का विषय है!
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) December 31, 2020
কয়লা, গরু, বালি, পাথরের বেআইনি পাচার নিয়ে রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব অনেক দিন ধরেই অভিযোগ তুলছেন। এ ব্যাপারে বারবার ভাইপোর প্রসঙ্গ টানা হচ্ছে। সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও সেই কথাই প্রতিটি সভা থেকে জোরদার গলায় বলছেন।
ঘটনা হল, এই অভিযোগ যে শুধু বিজেপি নেতাদের তা নয়, কংগ্রেস ও সিপিএম নেতাদেরও অভিযোগ একই রকম। বর্তমানে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৩ জুলাই বিনয় মিশ্রকে তিনি যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ করেন। ফলে বিনয়ের বাড়িতে তল্লাশি শুরু হতেই রাজনৈতিক আক্রমণে নেমে পড়েছে বিজেপি।
তৃণমূল অবশ্য অনেক আগে থেকেই বলছে, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে কেন্দ্রের সরকার। ভোটের আগে এজেন্সি লেলিয়ে দিচ্ছে। আর তা দিয়ে তৃণমূলকে দমন করতে চাইছে। কিন্তু তৃণমূলকে এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না।
তৃণমূলের এই অভিযোগ নিয়ে কৈলাসকে এদিন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাচক্রে ভোটের আগে এই তল্লাশি চলছে এটা ঠিক। তবে যতদূর সংবাদমাধ্যমে পড়েছি এর আগে গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে কিছু সরকারি অফিসার গ্রেফতার হয়েছে। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভিযোগ করলে কি অপরাধ লঘু হয়ে যায়? যে চুরি করেছে তার অপরাধ মাফ হয়ে যায়। কেউ যদি চুরি না করে থাকে, তা হলে ভয় পাবে কেন?
जो काम दीदी को 5 महीने बाद करना है!
वो अभी से शुरू कर दिया! pic.twitter.com/8bj63tlxTJ
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) December 31, 2020
বস্তুত কয়লা কাণ্ড নিয়ে এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে টিপ্পনি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। নভেম্বর মাসে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। সেদিন কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝি তথা লালার বাড়িতে আয়কর তল্লাশি চলছিল। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দিল্লি থেকে পুলিশ এনে রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে সেদিন সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জবাবে অমিত শাহ বলেছিলেন, কয়লা থেকে তো বাংলারও রাজস্ব আদায় হয়। লালাজি কে আমি জানি না। তবে তার বাড়িতে তল্লাশি হলে মমতাজি রেগে যাচ্ছেন কেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রান্না নিয়েও এদিন খোঁচা দিয়েছেন কৈলাস। বুধবার বীরভূম থেকে ফেরার পথে হঠাৎ একটি আদিবাসী পাড়ায় চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামে তখন হইহই। পুকুরের স্নান, কলতলার বাসন মাজা ফেলে তখন মহিলারা ছুটছেন, দিদ এসেছেন, দিদি এসেছেন। তারপর ওই গ্রামেই একটি দোকানের উনুনে ইয়া বড় কড়াইয়ে রান্না হচ্ছিল আলু-বরবটির ঝোল। তাতে বড়ি দেওয়া। দোকানে ঢুকে খুন্তি নাড়তে দেখা যায় দিদিকে। বিজেপি নেতা কৈলাস আজ সেই ছবিই টুইট করে লিখেছেন, “পাঁচ মাস পর দিদিকে এই কাজটাই করতে হবে। এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছেন।”