
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, দু’দিন আগে তাঁদের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঝাড়খণ্ডের ভোটপ্রচার থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “পোশাক দেখলেই বোঝা যাচ্ছে কারা আন্দোলন করছে!” মঙ্গলবার যাদবপুর থেকে মিছিল শুরু হওয়ার আগে সেই পোশাক প্রসঙ্গ টেনেই নাম না করে মোদীকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “পোশাক দেখলেই কে ভাল আর কে খারাপ বোঝা যায় না কি? যাঁরা টুপি পরেন তাঁরা সবাই খারাপ আর যাঁরা পরেন না তাঁরা সবাই ভাল?”
এরপর মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ওরা ধর্ম, পোশাক দিয়ে মানুষকে আলাদা করতে চাইছে। আমাদের এক হয়ে থাকতে হবে। বাংলায় আমরা মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ করতে দেব না, দেব না, দেব না। দেশ জ্বলছে, বাজার জ্বলছে, আর ওরা পোশাক নিয়ে কথা বলছে।”
গতকাল প্রথম মিছিল করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিনের মিছিল শুরু হয় যাদবপুর থেকে। দুই অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তী ছিলেন একেবারে প্রথম সারিতে। উপস্থিত ছিলেন চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্যের মতো সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের ব্যক্তিত্বরাও।”
সোমবারের মতো এদিনও উপস্থিত তৃণমূল কর্মীসমর্থকদের শপথবাক্য পাঠ করান নেত্রী। তারপর বলেন, “আমি একটা ব্যাজ করেছি। যাতে বাংলার ম্যাপের ছবি আছে। তাতে লেখা রয়েছে এনআরসি, ক্যাব মানছি না, মানব না। আপনারাও এইরকম ব্যাজ করুন। স্কুলে, কলেজে, সব জায়গায় এই রকম ব্যাজ করুন।”
এদিনও শান্তিপূর্ন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করার আহ্বান জানান মমতা। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে কাউকে রেয়তা করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একই সঙ্গে বলেন, “দু’টো ছোট ঘটনার জন্য সব ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা নিজের রেল সামলাতে পারেনি। আমি তো সাহায্য করেছি।”
আগামী কালও মিছিল রয়েছে তৃণমূলের। হাওড়া ময়দান থেকে শুরু হয়ে হাওড়া ব্রিজ, ব্রেবর্ন রোড হয়ে মিছিল যাবে ধর্মতলায়। ওই মিছিলেও হাঁটার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।