
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনেক বলেন ক্রিকেট মাঠে তাঁদের মধ্যে সখ্য খুব একটা বেশি ছিল না। দু’জনেই বাংলার দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু ড্রেসিং রুমে তাঁদের আলাদা আলাদা লবি ছিল। আর তার ফল ভুগতে হয়েছিল বাংলা দলকে। সেই একই ছবি কি এবার রাজনীতির ময়দানেও দেখা যাবে। একদিকে যখন মন্ত্রিত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের সব পদ ছেড়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল, তখন কি এবার তৃণমূলে নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন মনোজ তিওয়ারি। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে জল্পনা।
সূত্রের খবর, আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগদান করতে চলেছেন মনোজ তিওয়ারি। যদিও এই বিষয়ে বাংলা প্রাক্তন অধিনায়ক এখনও কিছু জানাননি। তাঁকে ফোন করা হলে মনোজ বলেন, যা বলার আগামীকাল বলবেন।
অন্যদিকে ময়দানের তিন পরিচিত ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু ও সৌমিক দেও আনুষ্ঠনিক ভাবে আগামীকাল তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলেই খবর। মানস-বিদেশকে বহু বছর ধরে তৃণমূলের সভায় দেখা যায়। এমনকি এন এস রোডে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের সদর দফতরে যখন মানস কর্মরত ছিলেন, তখন টিফিনের সময় বাম কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে তৃণমূলের হয়ে রীতিমতো তর্ক জুড়তেন তিনি। আর মানস যেখানে যাবেন, তাঁর অভিন্ন হৃদয় বন্ধু বিদেশ বসুকেও সেখানে দেখা যাবে সেটাই বাহুল্য। ফোন করা হলে মানস জানিয়েছেন, মানসিক ভাবে ১০ বছর ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। তবে যোগদানের কোনও প্রস্তাব এখনও আসেনি। পেলে অবশ্যই গ্রহণ করবেন। একই কথা শোনা গেছে বিদেশের গলাতেও।
সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে জুড়েছে আর এক প্রাক্তন ফুটবলার সৌমিক দে-র নাম। গত ২৩ জানুয়ারি শ্যামবাজার থেকে রেড রোড পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলে মমতার পাশে পাশেই হাঁটতে দেখা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের এই প্রাক্তন অধিনায়ককে। মিছিলের পরে সভায় মমতার পিছনেই বসেছিলেন তিনি। এমনকি কোতরঙ এলাকায় তৃণমূলের হয়ে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। প্রবীর ঘোষাল বিজেপিতে যোগদানের পরে উত্তরপাড়ায় তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামীকাল সৌমিকও হয়তো আনুষ্ঠানিক ভাবে জোড়াফুলের ঝান্ডা ধরবেন।
