
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রেমিকের সঙ্গে মেয়েকে দেখে ফেলেছিলেন বাবা-মা। নির্দেশ দিয়েছিলেন দ্রুত বাড়ি ফেরার। আর তাতেই ভয় পেয়ে যায় রক্ষণশীল পরিবারের কিশোরী। বাড়ি ফেরার পর পরিণতি কী হতে পারে সেই ভয়ে, আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছে ১৬ বছরের কিশোরী। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম নম্রতা দাস। চন্দনগরের পালপাড়ায় বাড়ি নম্রতার। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার দুপুরে বান্ধবীর জন্মদিনে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নম্রতা। তার পর প্রেমিকের বাড়ি যায় সে। সেখানে প্রেমিকের জন্মদিন পালনের পর খাওয়া-দাওয়া সেরে দুপুরে এক বান্ধবী এবং প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে বেরোয় নম্রতা। সেই সময়েই মেয়েকে তার প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে দেখেন নম্রতার বাবা-মা। নম্রতাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলেন তাঁরা। এতেই ভয় পেয়ে যায় কিশোরী। আন্দাজ করে বাড়ি ফিরলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। আর সেই ভয়েই মারাত্মক সিদ্ধান্ত নেয় সে।
বাবা-মাকে দেখার পরই নম্রতা তার প্রেমিক ও বান্ধবীকে জানায় যে তাকে তখনই বাড়ি ফিরতে হবে। এর পর টোটোয় চড়ে চন্দননগর হাসপাতাল মোড়ে যায় কিশোরী। সেখানে নম্রতার এক বান্ধবী থাকে। তাদের আবাসনেই ঢোকে নম্রতা। কিন্তু বান্ধবীর ফ্ল্যাটে না ঢুকে সিড়ি দিয়ে সোজা চারতলার ছাদে উঠে যায় কিশোরী। সেখান থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে নম্রতা।
ছাদ থেকে ভারী কিছু পড়ার আওয়াজে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। ততক্ষণে মাটিতে পড়ে রক্তে ভেসে যাচ্ছে নম্রতা। এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন সকলেই। পুলিশে খবর দেন আবাসনের বাসিন্দারা। তার মধ্যেই গুরুতর জখম কিশোরীকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় নজরে পড়তে স্থানীয়রাই কিশোরীকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রাই। সেখানে কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা যায়, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে নম্রতার।
মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকস্তব্ধ নম্রতার বাবা-মা। গতকাল অর্থাৎ রবিবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর কিশোরীর মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। চন্দননগর থানার পুলিশ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর কেস রুজু করেছে।