
রাত পোহাতেই ময়দানে মুকুল রায়, শুরু করে দিলেন জেলা সফর
শনিবার বিকেলে বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা সর্বভারতীয় কমিটির নাম ঘোষণা করেছেন। তাতে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয়েছে মুকুল রায়কে। তারপর রাত পোহাতেই রবিবার জেলা সফরে বেরিয়ে পড়লেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড!
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুধু যেন সিলমোহরের অপেক্ষা ছিল!
শনিবার বিকেলে বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা সর্বভারতীয় কমিটির নাম ঘোষণা করেছেন। তাতে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি করা হয়েছে মুকুল রায়কে। তারপর রাত পোহাতেই রবিবার জেলা সফরে বেরিয়ে পড়লেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড!
এদিন পুরুলিয়া জেলা বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক ছিল। সেখানে যোগ দেন মুকুলবাবু। যদিও মুকুল রায় বলেছেন, এই কর্মসূচিতে তাঁর যোগ দেওয়ার সঙ্গে সর্বভারতীয় স্তরে পদ পাওয়ার কোনও বিষয় নেই। এটা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি।
কোভিড পরিস্থিতিতে মুকুল রায়কে সে ভাবে প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি। কাঁচরাপাড়ার বাড়ি থেকে সল্টলেকে নিজের অফিসে আসতেন। কদাচিৎ তাঁকে দেখা যেত হেস্টিংস ও মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি দফতরে। দিলীপ ঘোষরাও কটাক্ষের সুরে বলতেন, “মুকুলদার বয়স হয়েছে! ওঁকে আমরাই বাড়িতে থাকতে বলেছি!”
অনেকের মতে, মুকুল রায়ের কাছে বয়সটা যে কোনও বাধা নয় তা ফের বুঝিয়ে দিলেন তিনি। রাজনীতির বিষয়ে তাঁর যে আগের মতোই তাগিদ রয়েছে সেটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এদিন। তাঁদের বক্তব্য, মুকুল রায় ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছিলেন। দেখছিলেন, অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীরা কী করেন। দায়িত্ব পেতেই আবার সেই পুরনো মেজাজে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী।
রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, সিপিএমের ইস্পাতদৃঢ় সংগঠনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সংগঠন গড়ে তোলার প্রশ্নে মুকুলবাবু জেলায় জেলায় ঘুরে যে ভূমিকা নিতেন, এদিনও একই ভাবে জেলা ঘোরা শুরু করে দিলেন। এদিন পুরুলিয়ায় বহু পুরনো তৃণমূলের কর্মীরা মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করেন। রাস্তায় একাধিক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।
মঙ্গলবার দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে মুকুল রায়ের। এদিন তিনি বলেন, সবে মাত্র কমিটি ঘোষণা হয়েছে। তবে এখনও আমি জানি না আমার সাংগঠনিক দায়িত্ব কী। কোন রাজ্যে আমায় কাজ করতে হবে। সামনে বিহারের ভোট রয়েছে। তারপর অসম ও বাংলায় ভোট আছে। কোথায় দায়িত্ব দেবে সেটা দল ঠিক করবে। তবে বাংলার ভূমিপুত্র হিসেবে তিনি যে এ রাজ্যেই কাজ করতে উৎসাহী তাও স্পষ্টই করেন মুকুলবাবু।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এখন মুকুল রায় সর্বভারতীয় নেতা। তাঁকে এখন দিলীপ ঘোষের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। বাংলার জেলায় জেলায় নিজের মতো করে কর্মসূচি করতে পারবেন। কারণ, ভোট রাজনীতিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের চেয়ে অনেক বেশি ধুরন্ধর মুকুল রায়। একুশের ভোটে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বও চাইবে, সরকার গড়তে নিজের মতো করে ছক সাজান মুকুল। কারণ এর
আগে অমিত শাহ প্রকাশ্যেই মেনে নিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮টি আসন জেতার পিছনে মুকুল রায়ের বড় অবদান রয়েছে।