
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এসএসকেএম হাসপাতালের এক নার্সের। মৃতার নাম প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর।
গত দশ দিন ধরে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই তরুণী নার্স। তাঁকে রাখা হয়েছিল আইসিইউতে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিতে হয়। মঙ্গলবার ভোর বেলা মৃত্যু হয় তাঁর। এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ বিভাগে কর্মরত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে স্বাস্থ্য ভবনের এক আধিকারিকেরও মৃত্যু হয়েছে। এবার কোভিডে মৃত্যু হল এসএসকেএমের নার্সের।
প্রিয়াঙ্কার মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার রঘুনাথ মিশ্র। তিনি জানান, প্রয়াত নার্সের অ্যাজমার সমস্যা ছিল। গত ১৬ তারিখ হাসপাতালেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখনই তাঁকে এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় কোভিড পরীক্ষার জন্য। ১৮ তারিখ রিপোর্ট আসে পজিটিভ। তারপরই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
রঘুনাথবাবু আরও বলেন, “এসএসকেএম হাসপাতাল কোভিড চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত না হলেও এখানে অন্য অনেক রোগী আসছেন যাঁদের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকছে। টেস্টের পর দেখা যাচ্ছে তাঁরা পজিটিভ। ফলে ঝুঁকির মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে ছিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের। তিনি জানিয়েছেন, মৃত নার্সের বাড়ি বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে।
শুধু তো নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরা নন। কোভিড যুদ্ধে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২৩০০-র বেশি পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গতকালই কোভিড পরীক্ষার যন্ত্র উদ্বোধনের পর ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই পরিসংখ্যান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা যাচ্ছে গত দু’সপ্তাহে দু’হাজারের বেশি পুলিশকর্মী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।