
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দলীয় কর্মীর নাবালিকা মেয়েকে মাদক খাইয়ে লাগাতার ধর্ষণ এবং ভিডিও বানিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি জেলা সভাপতির ভাইপোর বিরুদ্ধে। প্রায় ৬ মাস আগে এই অভিযোগ উঠলেও এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায়। ঘটনার পর কাঁকসা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। তবে লাভ হয়নি কিছুই। গত ৬ মাস ধরে পলাতক অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত রবিবার আদালতের নির্দেশে কাঁকসা থানার তরফে অভিযুক্তের বাড়িতে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজিরা দিতে হবে অভিযুক্তকে। নয়তো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানে কাঁকসা এলাকায় বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুইয়ের ভাইপো সহদেবের বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকে কাকা, ভাইপো দু’জনেই নাকি পলাতক। গত ৬ মাস ধরে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কাজ হয়নি কিছুই। তবে গতকাল আদালতের নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, গোটা ঘটনার খতিয়ে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও অভিযুক্ত সহদেবের দাদা সাগর ঘড়ুই গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ পেয়েছেন। তাঁর কথায়, ওই নাবালিকা এবং সহদেবের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু যেহেতু সহদেব, বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুইয়ের ভাইপো তাই ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপির একাংশের বিরুদ্ধে এমন কাজ করার অভিযোগ এনেছেন সাগর বাবু।
অন্যদিকে নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, তিনি বিজেপি করার পরেও দলের থেকে কোনও সহযোগিতা পাননি। বদলে শুনতে হয়েছে বিভিন্ন হমকি। অভিযুক্ত সহদেবের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “প্রশাসনের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা করি ন্যায়বিচার পাব।”