
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোকেন- সহ গ্রেফতার হওয়ার পরে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় রাকেশকে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। এই মামলায় এবার পামেলার অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিলেন সরকারি আইনজীবী। অন্যদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে রাকেশের অভিযোগ, তাঁকে হেফাজতে মারধর করা হয়েছে।
এদিন আলিপুর আদালতে রাকেশকে তোলা হলে তাঁকে ৯ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালতে নিজের বক্তব্যে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে ঘটনার সময় পামেলা গোস্বামীর গাড়িতে ছিলেন অন্যতম অভিযুক্ত অমৃত সিং। গাড়িতে ওঠার আগে তাঁকে নীচু হয়ে কিছু একটা রাখতে দেখা গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। এমনকি ঘটনার আগের দিন নাকি রাকেশের বাড়িতেও দেখা গিয়েছে অমৃতকে। গত মঙ্গলবার যে গাড়ি করে যাওয়ার সময় পূর্ব বর্ধমানের গলসীতে গ্রেফতার হন রাকেশ সেই গাড়িতেও আগে অমৃতকে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সরকারি আইনজীবী আরও বলেন, তল্লাশির সময় পুলিশের নজর এড়িয়ে পাশে রাখা একটি স্কুটি নিয়ে চম্পট দেন অমৃত। স্কুটি নিয়ে সেখানে অপেক্ষা করছিল রাকেশের আর এক ঘনিষ্ঠ সুরজ শাহ। অমৃত প্রথমে স্কুটি নিয়ে মোমিনপুরে যান। তারপরে সেখান থেকে বাস ধরে ওয়াটগঞ্জে নামেন। ওয়াটগঞ্জেই আবার রাকেশের বাড়ি। অমৃতের গতিবিধির সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী।
এই মামলায় একটি নতুন ধারা যুক্ত হয়েছে এদিন। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া কোকেন কিনতে অনেক টাকা লেগেছিল। সেই টাকা কে দিয়েছিল? এই বিষয়ে তদন্তের জন্য ২৭এ ধারা যুক্ত করা হয়েছে মামলায়।
অন্যদিকে আবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রাকেশ সিং। তিনি বলেন, তাঁকে পুলিশি হেফাজতে মারধর করা হয়েছে। সুরজ শাহ তাঁর বাড়িতে কাজ করে। তাঁর বাড়ির দুই পরিচারককে তুলে তদন্ত সাজানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। অভিযুক্ত অমৃতকে তিনি চেনেন না বলেই জানিয়েছেন রাকেশ।