
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে বাড়ির দরজা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে সিআইএসএফের নিরাপত্তারক্ষী ও পরিবারের লোকেরা। পুলিশের দাবি, বাড়ির ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালাতে চান তাঁরা। কিন্তু পরিবার ও কেন্দ্রীয় বাহিনী বাধা দিচ্ছে। অন্যদিকে পরিবারের বক্তব্য ঠিক কী কারণে পুলিশ তল্লাশি চালাতে চায় সেই সম্পর্কিত বৈধ নথি দেখালেই বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেবেন তাঁরা। নইলে পুলিশ চাইলে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতে পারে পুলিশ।
আলিপুরে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের বাড়ির বাইরের ছবিটা মঙ্গলবার দুপুর থেকে ছিল এইরকম। অবশেষে দরজা ভাঙতে হয়নি। কথাবার্তার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হয়। বাড়ির দরজা খুলে দেন পরিবারের লোকেরা। ভিতরে ঢুকেছেন লালবাজার, নিউ আলিপুর, ওয়াটগঞ্জ ও সাউথপোল থানার আধিকারিকরা। এখনও তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা।
কয়েক ঘণ্টা আগে ছবিটা কিন্তু এরকম ছিল না। মাদক মামলায় হাইকোর্টে রাকেশ সিংয়ের আবেদন খারিজ হওয়ার পরেই আলিপুরে রাকেশ সিংয়ের বাড়ির বাইরে গিয়ে হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। তাঁদের বক্তব্য নিউ আলিপুর থানায় রাকেশের বিরুদ্ধে হওয়া একটি মাদক মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করতে চান তাঁরা। কিন্তু পুলিশকে আটকান বিজেপি নেতার বাড়ির বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন রাকেশ ছেলে সাহেব সিংও।
রাকেশের ছেলে অভিযোগ করেন, তাঁর বাবা দিল্লিতে গিয়েছেন। পুলিশ কী কারণে বাড়ির ভিতরে ঢুকে তদন্ত করতে চাইছে সেই বিষয়ে কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেনি। তারা কাগজ দেখালে তবেই বাড়ির ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। তাঁর বাড়িতে কর্মরত তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও অভিযোগ সাহেবের।
অন্যদিকে পুলিশের অভিযোগ তাদের তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে। নিউ আলিপুর থানায় থানায় দায়ের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়েছে তারা। রাকেশ বাড়িতে রয়েছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে চান তাঁরা। কিন্তু সিআইএসএফ আধিকারিকরা গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করার হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ। সব মিলিয়ে রাকেশের বাড়ির বাইরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এমনকি পুলিশ এও জানায়, প্রয়োজন পড়লে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকবে তারা। সেইমতো দরজা ভাঙার সব সরঞ্জামও আনা হয়। কিন্তু তা আর ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়েনি। এখনও বাড়ির ভিতরেই রয়েছেন তাঁরা। সেখানে রাকেশ রয়েছেন কিনা, বা তল্লাশিতে কী কী উঠে এসেছে সেই বিষয়ে পুলিশ বা বাড়ির লোকের তরফে কিছু জানানো হয়নি।