
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাগত জানানোর পরেও ভোট নির্ঘণ্ট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। দিদির সেই প্রেস কনফারেন্স শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর আবার বেহালায় বিজেপির সভা থেকে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাক্তন বনমন্ত্রী বলেন, “ভোট ঘোষণার পরেই তৃণমূলনেত্রী যে ভাবে চক্রান্তের কথা বলেছেন তাতে পরিষ্কার উনি আগেই হেরে বসে রয়েছেন।”
কমিশন জানিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় তিন দফায় ভোট হবে। বাংলার একমাত্র একটি জেলাতেই তিন দফায় ভোট হচ্ছে। তা নিয়ে মমতা বলেছিলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যেহেতু আমাদের ক্ষমতা বেশি তাই সেখানে তিন দফায় ভোট করাচ্ছেন! এগুলো কি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহর কথায় হচ্ছে? আর ৬ এপ্রিল কেরল, তামিলনাড়ুতে ভোট করিয়ে দিচ্ছেন, যাতে বাকি সময় বাংলায় আসতে পারেন!”
এ নিয়ে রাজীব বলেন, “উনি মেনে নিয়েছেন বাংলার আর কোনও জেলা তাঁর শক্ত ঘাঁটি নয়। একটাই ঘাঁটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তাই সেখানে তিন দফায় ভোট হচ্ছে বলে ভয়ে একাকার হয়ে যাচ্ছেন।”
২০১৯, ২০১৬ এমনকি ২০১১-র ভোটেও ছয় দফা বা সাত দফায় ভোটের কথা স্মরণ করিয়ে দেন রাজীব। যে ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। মমতা তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন যতই আট দফায় ভোট করানো হোক, হারিয়ে ভূত করে দেবেন। পাল্টা রাজীব বললেন, উনি নিজেই হেরে বসে রয়েছেন।