
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতারের সময় কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট যে মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছিল তা নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনই জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। দীর্ঘ দিন ধরেই রোজভ্যালি মামলার তদন্ত করছে ইডি। তারপর চিটফান্ড মামলার তদন্তে যুক্ত হয়েছে সিবিআইও। এখন মূলত সিবিআই এই তদন্তের গতি বাড়িয়েছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতার করার সময় তাঁর থেকে দুটি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছিল। ইডি-র সিজারলিস্টেও নাকি সেসবের উল্লেখ রয়েছে। সম্প্রতি ইডি-র থেকে সেসব চেয়ে পাঠায় সিবিআই। কিন্তু তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।
গেল কোথায় সেগুলো? তা জানতেই সেই সময়ের তদন্তকারী ইডি কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক পাঠিয়েছে সিবিআই। তাঁদের থেকে জানতে চাওয়া হবে, এত গুরুত্বপূর্ণ মামলার এত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হঠাৎ করে গেল কোথায়?
এর আগে বেশ কয়েক জন তদন্তকারী অফিসার বদল করেছিল ইডি। কাউকে কাউকে কলকাতা থেকেই সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এবার নতুন তথ্য সামনে এল।
এমনিতে সারদা তদন্তে এই ধরনের নথি খুঁজে না পাওয়ার অভিযোগ আগেও উঠেছিল। সিবিআই কর্তারা জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার যে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তথা সিট গঠন করেছিল, তারা সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে একটি লাল ডায়রি বাজেয়াপ্ত করেছিল। কিন্তু সেই ডায়রির হদিশ মেলেনি। সেই সময়ে সিটের প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থা যে মোবাইল ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছিল তা উধাও হয়ে গেছে এমন ঘটনা আগে শোনা যায়নি।
সম্প্রতি রোজভ্যালি গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে ভুবনেশ্বরে নিয়ে গেছে সিবিআই। আপাতত তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। শুভ্রার সঙ্গে বহু প্রভাবশালীর যোগ ছিল। কলকাতার এক তাবড় পুলিশ কর্তাকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল দিল্লিতে শুভ্রার সঙ্গে হোটেলে গিয়ে দেখা করছেন।
তবে আপাতত সিবিআইয়ের লক্ষ্য বাজেয়াপ্ত হওয়া গৌতম কুণ্ডুর দুটি ফোন ও ল্যাপটপ খুঁজে বের করা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই তিনটি ডিভাইস থেকে অনেক নতুন তথ্য মিলতে পারে।