
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর চব্বিশ পরগনা: জেলায় ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তাই মধ্যমগ্রামে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হলে ৪০ শয্যার সেফ হোম তৈরি করল মধ্যমগ্রাম পুরসভা। কুড়িটি শয্যা পুরুষদের জন্য এবং কুড়িটি বেড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
মধ্যমগ্রামের যে সব বাসিন্দার করোনা পজিটিভের লক্ষণ রয়েছে কিন্তু সমস্যা তেমন কিছু নয় তাঁদেরই মূলত এই সেফ হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জরুরি সমস্যা হলে বা কারও সমস্যা বেশি হলে পরবর্তী সময়ে তাঁদের চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হবে। সেফ হোমের রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবায় ২৪ ঘণ্টা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দায়িত্বে থাকবেন চার জন ডাক্তার ও দু’জন নার্স। রোগীদের ওষুধপত্র থেকে খাবারের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা থাকবে এই সেফ হোমে।
পুরসভার উদ্যোগেই এই সেফ হোম তৈরি হয়েছে। এর উদ্বোধন করেছেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা মুখ্য পুর প্রশাসক রথীন ঘোষ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারাসতের মহকুমাশাসক, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মধ্যমগ্রাম প্রশাসক বোর্ডের স্বাস্থ্য বিষয়ক দায়িত্বে থাকা নিমাই ঘোষ।
করোনা সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রত্যেক থানা ও পুর এলাকায় সেফ হোম গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে বেশ কয়েক ধাপ এগনো হয়েছে। ৮ অগস্ট জানানো হয়েছে কিছু দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত নির্দেশিকা থানা ও পুরসভাগুলির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মূলত উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের সেফ হোমে রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে একশোর বেশি সেফ হোম রয়েছে। এখন এই সেফ হোমের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই পুরসভাগুলি নিজেদের মতো করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেফ হোম তৈরি করতে শুরু করেছে।
এ রাজ্যে কলকাতার পরেই সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। রাজ্য সরকারের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এই জেলায় নতুন করে ৫৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২,২৭৯। তবে এখনও পর্যন্ত ১৬,২২৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে জেলায় বর্তমানে করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৫৫৪০। এখনও পর্যন্ত এই জেলায় করোনায় ৫১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এই জেলা নিয়ে আলাদা উদ্বেগ রয়েছে প্রশাসনের।