
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গতকালই তাঁর ফ্যান পেজের পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তাতে লিখেছিলেন শনিবার দুপুরে যা বলার বলবেন। কিন্তু শুক্রবারই দিল্লি যাচ্ছেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। দিল্লি কেন? অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের জবাবে শতাব্দী বলেছেন, “পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়!”
তাৎপর্যপূর্ণ হল, শুক্রবারই দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, অমিতাভ চক্রবর্তীরা রওনা দিয়েছেন রাজধানীর উদ্দেশে। থাকবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননরাও। শোনা যাচ্ছে দিল্লি গিয়ে শতাব্দী রায় মুকুল রায়ের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।
এসবের মধ্যেই আজ, শুক্রবার সকালে তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন শতাব্দী রায়। এ বিষয়ে টেলিফোনে তিনি ‘দ্য ওয়াল’কে বলেন, “এর আগেও আমি চিঠি একবার দিয়েছিলাম যে আমি তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদে থাকতে চাই না। কিন্তু দল আমাকে কোনও রিপ্লাই করেনি। আজ আমি ওই চিঠিটাই পাঠালাম দ্বিতীয়বারের জন্য, আমার পদত্যাগ গ্রহণ করার জন্য।”
১৯ ডিসেম্বর বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শতাব্দীকে নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। এক বিজেপি নেতা বলেছিলেন, তিন তৃণমূল সাংসদ শিগগির দলে আসছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন নাকি আবার মহিলা। কিন্তু বীরভূমে অমিত শাহের পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রোড শো করেছিলেন, তাতে একেবারে দিদির সঙ্গে সঙ্গে দেখা গিয়েছিল শতাব্দীকে। তাই সেই জল্পনা আপাত ভাবে চাপা পড়ে গিয়েছিল।
কিন্তু গতকালের ফেসবুক পোস্ট, আজকে দিল্লি যাত্রা নিয়ে শতাব্দী জল্পনা নতুন করে জেগে উঠেছে। এক বিজেপি নেতা বলেন, দেখুন না কী হয়। পর্যবেক্ষকদের মতে, দিদির সঙ্গে মিছিলে হাঁটার ১৫ দিন কাটতে না কাটতেই শতাব্দী এখন অন্য সুরে কথা বলছেন। সম্প্রতি আর এক মহিলা সাংসদ নবান্নে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সঙ্গে তাঁর স্বামীও ছিলেন। কে বলতে পারে কাল তিনি শতাব্দীর মতোই সুর ধরবেন না।