
বাংলায় ত্রিশঙ্কু হলে বামেরা কী করবে, ব্রিগেডে জবাব ইয়েচুরির
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি কোনও দিনই জনসভার জন্য ‘ফিটেস্ট’ বক্তা নন। সিপিএমের অনেকেই বলেন, সীতারাম ইয়েচুরির যা পাণ্ডিত্য তাতে চার দেওয়ালের ভিতর কোনও সেমিনারে তিনি বললে তা একটা ক্লাস করার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। রবিবারের মহাজোটের ব্রিগেডেও সরকারি বিরোধী আক্রমণের তুলনায় কৌশলগত অবস্থান ব্যাখাতেই যেন জোর দিলেন সীতারাম। বোঝাতে চাইলেন, ভোট পরবর্তী সমীকরণে যদি ত্রিশঙ্কু হয় তাহলে বামেদের ভূমিকা কী হবে? সেই সঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণীও করে রাখতে চাইলেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এদিন সীতারাম বলেন, “আমি দিল্লি থেকে যখন ব্রিগেডের জন্য আসছিলাম তখন অনেকে প্রশ্ন করছিলেন, বাংলায় যদি ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হয় তাহলে আমরা কী করব?” অর্থাৎ এমন একটা পরিস্থিতি দাঁড়াল তৃণমূল আর বিজেপি কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠিতা পেল না। সেক্ষেত্রে বামেরা যা আসন পাবে তা যদি নির্ণায়ক সংখ্যা হয় সেক্ষেত্রে কী হবে? সীতারামের কথায়, “আমাকে ওরা প্রশ্ন করেছিলেন, আপনারা কি তখন বিজেপিকে বড় শত্রু বলে গণ্য করে তৃণমূলকে সমর্থন করবেন? আমি তাঁকে বলি, আমরা কী করব সেটা ভাবতে হবে না। তেমন যদি পরিস্থিতি হয় তাহলে দেখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিজেপির কোলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সরকার গড়ার জন্য।”
উদাহরণ দিয়ে সীতারাম বলেন, উনি তো কতবার দিল্লিতে বিজেপি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, শরিক ছিলেন। এখানেও তো বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে কতবার লড়েছেন। খুব ভুল না হলে এটাই করবেন উনি।
এদিন ব্রিগেডকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, “আমি অনেক ব্রিগেডে এসেছি। কিন্তু এর আগে এমন উন্মাদনার ব্রিগেড আমি কখনও দেখিনি।” সেই সঙ্গে মঞ্চ থেকে স্লোগান তুলে সীতারাম বলেন, “না লুঠপাটের সরকার, না জাতপাতের সরকার, বাংলায় দরকার মানুষের সরকার।”
উনিশের ব্রিগেডেও কম লোক হয়নি। সে ব্রিগেড ছিল বামেদের একার। এবার আবার কংগ্রেস, আইএসএফ সবাই রয়েছে। নেতারা নাম দিয়েছেন সংযুক্ত মোর্চা। উনিশে ব্রিগেড ভরেছিল ঠিকই কিন্তু ভোট বাক্স ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল বামেদের। দেখা গিয়েছিল প্রায় গোটা বাম ভোট প্রায় উজাড় করে গিয়ে গেরু বাক্সে ঢেলে পড়েছে। এদিন সীতারাম পুরনো কথা না বললেও বলেন, “এবার আমাদের ভোট পড়বে। কেউ রুখতে পারবে না। কি, ভোট পড়বে তো?”