
দিঘায় উঠল বড় মাপের ইলিশ, কয়েক দিনের মধ্যেই ভরে যেতে পারে বাজার, রফতানির স্বপ্ন দেখছেন ট্রলারমালিকরা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মরসুমে এই প্রথম ইলিশ উঠল দিঘার সমুদ্র থেকে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন প্রতিটি মাছের ওজন মোটামুটি ভাবে আটশো গ্রাম থেকে এক কিলোগ্রাম। কেজি প্রতি এই সব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ছশো থেকে আটশো টাকায়।
গত পয়লা জুলাই বড় মাপের ট্রলার এবং ইলিশ ধরার ভাসানীগুলি পাড়ি দেয় গভীর সমুদ্রে। তার মধ্যে কয়েকটি ট্রলার সোমবার সকালে ভিড়েছে দিঘার মোহনায়। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, সমুদ্রে ইলিশ ধরা পড়ার আবহাও তৈরি হয়েছে। এতদিন সেই অবস্থা ছিল না। এমনকি গত বছরও ছিল না ইলিশ ধরার এমন অনুকূল পরিবেশ। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বইতে শুরু করেছে পূবালী হাওয়া।
দীঘার আড়তদার রাধাশ্যাম প্রধান বলেন, “শুধু এই বছর নয়, গত ২ বছর ধরে ইলিশ ধরার এমন উপযুক্ত পরিবেশ ছিল না। লকডাউনে মধ্যে ছিল না আবার আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পরেও তা ছিল না। গত দু’দিন আগে থেকে মাঝ সমুদ্রে এই আবহাওয়া হঠাৎই তৈরি হয়েছে। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ও পূবালী বাতাস বইতে শুরু করায় কয়েক দিনের মধ্যে বাছাই করা মাপের ইলিশ উঠতে শুরু করবে। আজ পরিমাণে কম ইলিশ উঠলেও সেগুলো মাপে বেশ বড় ছিল। দেড় কিলো পর্যন্ত ইলিশ উঠবে বলে আমরা আশা করছি। এমন ইলিশ গত দু’বছরে পড়েনি।”
বাকি ট্রলারগুলি খুব শীঘ্রই ফিরতে শুরু করে দেবে। তখন রাজ্যের প্রতিটি বাজারেই দেখা মিলবে জলের রুপোলি শস্যের। প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়লে তা চলে আসবে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। এমনটাই মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।
মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্মকর্তা, শ্যামসুন্দর দাস বলেন, অনেক প্রতীক্ষার পরে এমন ইলিশ উঠতে শুরু করেছে। আশাকরি রাজ্যের সব বাজারে আমরা তা পৌঁছে দিতে পারব।” ট্রলারের মালিক বিজু পট্টনায়ক বলেন, “গত দু’বছরে আমরা প্রায় ধরাশায়ী হয়ে পড়েছিলাম। এবার জালে ইলিশ পড়ছে। বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়লে আমরা তা রাজ্যের বাইরেও তা রফতানি করতে পারব বলে আশা করছি।
করোনার জন্য এবছর প্রথম দিকে সমুদ্রে ট্রলার নামানো সম্ভব হয়নি। গত মাসের শেষ দিকে অনেকের জাল প্রস্তুত না থাকায় এবং গ্রামবাসীদের একাংশের আপত্তিতে ট্রলার শেষ পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয় পয়লা জুলাই। এবার জালে ইলিশ পড়েছে। ট্রলারও ফিরতে শুরু করেছে।