
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত দেড়-দু’সপ্তাহ ধরে তৃণমূল ভবনে ঢারাবাহিক সাংবাদিক বৈঠক করছেন শাসকদলের নেতারা। এতদিন পর্যন্ত সেই বৈঠক থেকে বিজেপি, গেরুয়া শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাই ছিলেন তৃণমূলের নিশানায়। বিষ্যুদবার যেন সেই অভিমুখ ঘুরে গেল মুরলীধর সেন লেন থেকে রাজভবনের দিকে।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি অভিযোগ করলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে অপরাধীদের যোগ রয়েছে। কলকাতা পুলিশের উদ্দেশে কল্যাণের পরামর্শ, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করুন।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, “অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন এগিয়ে আসছেন রাজ্যপাল? তদন্তে বাধা দেওয়ার কেন চেষ্টা করছেন? বাংলায় অনেক ক্রিমিনাল আছে যাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে রাজ্যপালের। এর আগেও আমি এই অভিযোগ করেছি। যাঁরা এই কাজ করেছেন, সংবিধানের ১৮৬ ও ১৮৯ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”
এখানেই থামেননি কল্যাণবাবু। তিনি আরও বলেন, “কোনও সাংবিধানিক প্রতিনিধি যদি তাঁর পদে বসে এমন কোনও কাজ করেন যা বেআইনি তার জন্য ক্রিমিনাল প্রসিডিওর করার জন্য অনুমতি নিতে হয় না। আমি কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ১৮৬,১৮৯ ধারায় ক্রিমিনাল কেস করার জন্য।”
সম্প্রতি গোবিন্দ আগরওয়াল নামের ডালহৌসির এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ, নোটবন্দির সময়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতেন তিনি। কলকাতা পুলিশের আরও বক্তব্য গোবিন্দ আগরওয়াল আসলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টই নন।
পরের দিন রাজ্যপাল টুইট করে লেখেন মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে গোবিন্দকে। সেই সূত্রেই এদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্রিমিনালদের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগ তুলল তৃণমূল। কল্যাণের অভিযোগ, রোজভ্যালি কাণ্ডে অভিযুক্ত সুদীপ্ত রায় চৌধুরীর সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে এই ভুয়ো চার্টার্ড অ্যাকাউন্টটেন্টের।
কল্যাণের বক্তব্য নিয়ে রাজ্যপাল এখনও প্র্তিক্রিয়া দেননি। দিলে এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।