
রিষড়ায় রাজমিস্ত্রিদের হাতে মা-মেয়ে খুন, মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ৩
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রিষড়ায় তালাবন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল মা ও মেয়ের মৃতদেহ। তারপরেই এটা খুন না আত্মহত্যার ঘটনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়ায়। যদিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই মামলার কিনারা করল পুলিশ। খুনের অভিযোগে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন রাজমিস্ত্রিকে। আজ ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেবে পুলিশ, এমনটাই জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে আর্থিক ও ব্যক্তিগত কারণে মা ও মেয়েকে খুন করে মুর্শিদাবাদ থেকে আসা রাজমিস্ত্রিরা। প্রথমে দু’জনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারপরে বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় তারা। ঠিক কী ব্যক্তিগত ও আর্থিক কারণ ছিল সে বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে আর কেউ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে রিষড়ার দেওয়ানজি স্ট্রিটের একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে ঝুমা চট্টোপাধ্যায় (৩৫) নামে এক মহিলা ও তার দশ বছরের মেয়ে অঙ্কিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ডিসি শ্রীরামপুর অরবিন্দ কুমার আনন্দের নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সকাল থেকেই ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে মা মেয়ের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘরে ঢুকে বিছানায় মা-মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আত্মহত্যা নাকি খুন? তা নিশ্চত করার জন্য মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঝুমার স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তিনি দমকল বিভাগের কর্মী। গতকাল রাতে ডিউটিতে ছিলেন। ঝুমার স্বামীর কাছেই ওই রাজমিস্ত্রিদের ব্যাপারে খোঁজ পায় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, রাতে ঝুমার স্বামী ডিউটিতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু মা ও মেয়ে বাড়িতেই ছিলেন। সকাল থেকে ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। বহুক্ষণ ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সাড়া শব্দ না পাওয়ায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। ফলে তাঁরাই দুপুরে রিষড়া থানাকে বিষয়টি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ দেখে সেটি ভেঙে ফেলেন। এরপর ঘরে ঢুকে খাটের ওপর মা-মেয়েকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
প্রথমে ঘটনাটি নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করল চন্দননগর পুলিশ।