
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কবে ভোট হবে এখনও ঠিক নয়। কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে ক্রমশই বাংলার রাজনীতি যেন গরম হচ্ছে। শনিবার সপ্তাহান্তেও এক প্রকার গরমাগরম হল। তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে বসে বিকেল তিনটেয় সাংবাদিক বৈঠক করলেন কাকলি ঘোষদস্তিতার। তার পরেই পাল্টা প্রেস কনফারেন্স দিলীপের। মুখোমুখি না বসেও এ যেন এক প্রকার সওয়াল-জবাব ও পাল্টা সওয়াল।
এদিন দিলীপ ঘোষের সেই সাংবাদিক বৈঠকেই প্রশ্ন উঠেছিল, তৃণমূল বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসংযোগ কর্মসূচি নিচ্ছে। আপনারা কী করবেন?
রাজ্য বিজেপি সভাপতি যেন মুডে ছিলেন। প্রশ্ন শুনে বলেন, “ভাল তো! আমরাও চাই তৃণমূল মানুষের কাছে যাক। বাড়ি বাড়ি। লোকে তো তৃণমূল নেতাদের সত্যিই খুঁজছে। কাটমানির হিসাব নেবে, সিন্ডিকেটের হিসাব নেবে, পঞ্চায়েতের টাকা, আমফানের টাকা, রেশনের চাল কে খেল, কোথায় গেল জিজ্ঞেস করবে। ওদের যাওয়া উচিত।”
তাঁর কথায়, “তবে কি আমি বলব তৃণমূল নেতারা যেন সঙ্গে পুলিশ নিয়ে যান। আমরা কিছু করব না। যা করার মানুষই করবে। পরে বিজেপির উপরে যে দোষ না চাপান।”
এখানেই থামেননি দিলীপবাবু, তিনি বলেন, “লোকে তো এখন তৃণমূলের নেতাদের খেতেও দিচ্ছে না। এই যে তৃণমূল ‘বাংলার গর্ব মমতা’ করেছিল। আমাদের নেতারা বুথে বুথে গেলে যেমন মানুষ খেতে, থাকতে দিচ্ছে, ওদের দেয়নি। তৃণমূলের সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া নিজের কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। তাঁকে বিজেপির কর্মীর বাড়ি খেতে হয়েছে।”
দিলীপবাবু যখন এভাবে কটাক্ষ করেছেন, তখন আজ কাকলি ঘোষদস্তিতার সবিস্তারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সাফল্য ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বাংলা এখন শান্তির স্বর্গরাজ্য। সৃষ্টি, কৃষ্টিতে এক নম্বরে। বিশেষ করে রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তাঁর কথায়, ৩৫ বছর ধরে বাংলায় মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। সিঙ্গুরে তাপসি মালিককে খুন করা হয়েছে। ধানতলা, বানতলা হয়েছে। কিন্তু দশ বছরে রাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলার চেহারাটাই বদলে গিয়েছে। গোটা দেশে আর কোনও রাজ্য নেই যেখানে মহিলারা এতোটা সুরিক্ষত।