
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: কাটমানি ইস্যুতে উত্তপ্ত হুগলির হরিপাল। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাড়িতে ঢুকে গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারপর পুলিশ পৌঁছলে তা নিয়েও অশান্তি। পুলিশকে দেখে পালাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক গ্রামবাসীর। মৃতার নাম বাসন্তী কোলে (৫৯)। বিজেপি- তাঁর মৃতদেহ নিয়ে অবরোধ করল হরিপাল-জেজুর রোড। বিজেপি নেতা মুকুল রায় দাবি করলেন, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। যদিও মৃতার ছেলে জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের তাড়াতেই।

অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তৃণমূলের উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তীর বাড়িতে চড়াও হয় স্থানীয়রা। দাবি একটাই, কাটমানি ফেরত দিতে হবে। প্রাসাদোপম বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে জনতা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়ির সামনে দাঁড় করানো একটি চার চাকা গাড়ি।
শনিবার সকাল থেকেই জেজুরের রামকৃষ্ণবাটী গ্রামে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কারা গতকাল হামলার নেতৃত্বে ছিল, বাড়ি বাড়ি চলে তল্লাশি। আধঘণ্টার মধ্যে এলাকার পুরুষরা গ্রাম ছাড়তে শুরু করেন। অভিযোগ, পুলিশি টহলের সময়েই আতঙ্কে পালাতে গিয়ে পুকুরঘাটে পড়ে মৃত্যু হয় বাসন্তীদেবীর।

বিজেপি রাজ্য দফতরে মুকুল রায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ এখন ট্রিগার হ্যাপি। কিছু হলেই গুলি চালায়। আজকেও হরিপালে বাসন্তী কোলে নামের এক গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করেছে।” হুগলি পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করা হয়েছে। হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, “মুকুলবাবুর কাজই মানুষকে বিভ্রান্ত করা। কোনও গুলি চলেনি হরিপালে।” মৃতার ছেলে শ্রীকান্ত কোলে, গুলির কথা না বললেও, তাঁর মায়ের মৃত্যুর জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি-র নেতৃত্বেই কাটমানির ধুয়ো তুলে শুক্রবার রাতে গোপাল চক্রবর্তীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধে পর্যন্ত এলাকা থমথমে। চলছে পুলিশি টহল।