
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এ যেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোকাল টনিক!
তেখালির মাঠ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটল না। তার মধ্যেই দেওয়াল লেখা শুরু হয়ে গেল। দিদির সভার পর গতকালই দেওয়ালে চুনের পোচ পড়ে গেছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রঙে ফুটে উঠল একুশের বিধানসভায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল তৃণমূলনেত্রী কার্যত চমক দিয়েছিলেন। ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, তিনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন। যদিও সেই ঘোষণা কতটা সুচিন্তিত বা কতটা আকস্মিক তা নিয়ে অনেকেই অনেক মত পোষণ করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল, নন্দীগ্রামে দাঁড়াবই।

দিদি বলেছেন ভবানীপুরেও তিনি দাঁড়াবেন। অর্থাত্ দুটি কেন্দ্র থেকে লড়বেন মমতা। তবে ভবানীপুরে মঙ্গলবার সকালে তেমন উত্সাহ দেখা যায়নি। যা দেখা গেল নন্দীগ্রামে।
মমতা বলেছিলেন, আপনারা কাজটা করে দেবেন। কারণ আমায় তো ২৯৪টি কেন্দ্রে লড়তে হবে। ভোটের পর আমি সব করে দেব।
বুধবার তিন দিনের সফরে রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ভোট ঘোষণা হতে পারে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। কিন্তু সেসবের আগেই নন্দীগ্রামের দেওয়ালে দেওয়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
নন্দীগ্রামে গত বার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতার ছোড়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে শুভেন্দুর পাল্টা হুঙ্কার, মাননীয়াকে নন্দীগ্রামে হাফ লাখ ভোটে হারাব। নাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
সব মিলিয়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ে দখল পুনর্দখলের রক্তক্ষয়ী রাজনীতির উত্তেজনাকেও যেন ছাপিয়ে যাচ্ছে একুশের নন্দীগ্রাম।