
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। আজ থেকে অষ্টমী অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ষষ্ঠীর সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। মেঘলা আকাশের পাশাপাশি বইছে ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়াও। তাপমাত্রাতেও সামান্য হেরফের হয়েছে। গুমোট গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রাথমিক অভিমুখ ছিল ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূল। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন, স্থলভাগে প্রবেশ না করে উপকূল এলাকাতেই এই নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়েছে। এখন এই নিম্নচাপ ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল বরাবর বাংলাদেশের দিকে এগোবে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে নিম্নচাপ অবস্থানের কারণে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা থাকছেই। ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে উপকূলীয় জেলাগুলোয় বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও সমুদ উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা থাকায় নিরাপত্তার কারণে ২৪ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। কারণ আলিপুরের পূর্বাভাস পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছাকাছি এসে এই নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। গতকাল সন্ধ্যায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আজ সকাল থেকেই মেঘলা রয়েছে আকাশ। দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ০.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আলিপুর জানিয়েছে, আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। বজ্রবিদ্যৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সঙ্গে এইসব জেলায় বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। এছাড়াও আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলাতেও।
ঝড়বৃষ্টির ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে জল জমতে পারে। জলমগ্ন হতে পারে শহর ও শহরতলি এবং বিভিন্ন জেলার রাস্তাঘাট। ঝোড় হাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পুজো মণ্ডপগুলি। দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলীতে ষষ্ঠী, সপ্তমী এবং অষ্টমী এই তিনদিনই ভারী দুর্যোগের সতর্কতা রয়েছে। রাস্তাঘাট জলমগ্ন হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে ক্ষতি হতে পারে ফসলেরও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৫ তারিখ অর্থাৎ নবমীর দিন থেকে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।