
‘#পালিয়ে গেলেন মমতা’, নন্দীগ্রামে হারিয়ে কলকাতায় পাঠিয়ে দেব, পাঁশকুড়ায় বললেন শুভেন্দু
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কী কাকতালীয়!
১৮ জানুয়ারি দুপুর। পূর্ব মেদিনীপুরে তেখালির মাঠে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এবার তিনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন। তার কয়েক ঘণ্টা পর মমতার বাড়ির প্রায় দোরগোড়ায় রাসবিহারী মোড়ে সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। বিজেপি নেতা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাব।
৫ মার্চ দুপুর। কালীঘাটের বাড়িতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন তিনি নন্দীগ্রামেই লড়ছেন। ‘আমি যে কথা দিই, সে কথা রাখি।’ আর বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে শুভেন্দুর হুঙ্কার, “ভবানীপুরে হারবেন ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে পালিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। ভবানীপুরে যে ভোটে হারতেন তার তিনগুণ ভোটে হারিয়ে ওঁকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেব।”
নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর কথা মমতা এদিন ফের ঘোষণা করতেই বিজেপি সোশাল মিডিয়ায় নতুন হ্যাশট্যাগ চালু করে দেয়—#পালিয়ে গেলেন মমতা। তাঁদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে হার নিশ্চিত জেনেই নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন। আবার টালিগঞ্জের কথাও ছুঁয়ে রেখেছেন। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “দশ বছর নন্দীগ্রামের দিকে তাকাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার মানুষও বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দেবে।”
মমতা নন্দীগ্রামে প্রার্থী হব বলে যেদিন ঘোষণা করেছিলেন, সেদিন আরও একটি কথা বলেছিলেন। তা হল, নন্দীগ্রাম আমার ছোট বোন, ভবানীপুর আমার বড় বোন। আমি ভবানীপুরকে নেকলেট করব না। ভাল প্রার্থীই দেব। আর যদি দেখি ম্যানেজ করতে পারছি না তাহলে আমি দুটো জায়গা থেকে দাঁড়াব।
তারপর থেকেই বিজেপি নেতারা বলতে শুরু করেন, দু’জায়গায় দাঁড়ালে চলবে না। আপনাকে এক জায়গাতেই দাঁড়াতে হবে। এবং শুধু নন্দীগ্রামেই। এর মধ্যে একদিন তো আবার শুধু নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিজেপির শীর্ষ নেতারা মমতার উদ্দেশে গণ টুইট করেন। এদিন দেখা যায় মমতা একটি আসনেই দাঁড়িয়েছেন। শুধু নন্দীগ্রাম। ভবানীপুরে প্রার্থী করা হয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে।