
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করার সুবাদে বেতন ভালই ছিল। আর তাই বিলাসবহুল জীবনের অভ্যাসও গড়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিমতার যুবক রণিত দের। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে চাকরি চলে যায় তার। অন্যদিকে বিলাসবহুল জীবনের ফলে জমানো টাকাও প্রায় শেষ হয় যায়। আর তখনই নিজেকে অপহরণের নাটক করে সে। যদিও ধরা পড়ে গিয়েছে সে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিমতার ওলাইচণ্ডী তলার বাসিন্দা রণিত কলকাতায় এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করত। বিলাসবহুল জীবন, একাধিক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক, এসবেই নাকি অভস্ত ছিল সে। কিন্তু সমস্যা হয় লকডাউনে। একাধিক বেসরকারি সংস্থায় ছাঁটাই শুরু হয়। চাকরি যায় রণিতের। কিন্তু বাড়িতে সেই কথা জানায়নি সে। ঠিক করে নিজের অপহরণের নাটক করে বাবার কাছ থেকে টাকা নেবে।
জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা করে হঠাৎ করে একদিন বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় রণিত। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তারপর বাড়িতে ফোন আসে রণিতের। ফোনের ওপার থেকে জানানো হয়, রণিতকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। একাধিকবার ফোন আসতে থাকে। মুক্তিপণ বাবদ কখনও ২ লাখ টাকা, আবার কখনও ৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়।
ছেলের অপহরণের খবর পেয়ে নিমতা থানায় যোগাযোগ করেন তার বাবা। পুরো ঘটনা পুলিশকে জানান তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। যে নম্বর থেকে রণিতের বাড়িতে ফোন করা হচ্ছিল, সেই নম্বর ট্র্যাক করে জানা যায়, সেটি রাজারহাটের একটি হোটেল থেকে আসছে।
রবিবার সেখানে হানা দেয় পুলিশ। হাতেনাতে পাকড়াও হয় রণিত। শুধু সে নয়, সেখান থেকে অনেক তরুণীকেও পাকড়াও করে পুলিশ। জেরায় পুলিশকে রণিত জানায়, নিজেই পরিকল্পনা করে সবটা করেছিল সে। এই ঘটনায় অবাক রণিতের পরিবারের লোক। নিজের ছেলে যে তাঁর কাছে এভাবে মুক্তিপণ চাইবেন তা কল্পনাও করতে পারছেন না রণিতের বাবা। আগামীকাল তাদের আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাকড়াও হওয়া তরুণীদের সঙ্গে রণিতের কী সম্পর্ক তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।