
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘বহিরাগত’ প্রশ্নে তৃণমূলের পাল্টা সমালোচনায় নামল বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বুধবার বলেন, “মূর্খের মতো কথা বলছে তৃণমূল? আমরা কি চিন থেকে এসেছি? বাংলাদেশিরা এলে স্বাগত আর আমরা বহিরাগত?”
বুধবার সকালেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেছেন, এখন থেকে প্রতিমাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাংলায় আসবেন।
তা ছাড়া বাংলাকে সাংগঠনিক ভাবে পাঁচ ভাগে ভাগ করে সর্বভারতীয় স্তরের পাঁচ নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। সুনীল দেওধর, বিনোদ তাওরে সহ ওই পাঁচ নেতা এদিন থেকেই বাংলায় তাঁদের কর্মসূচি নিয়ে নেমে পড়েছেন।
নাম না করে এঁদেরই বহিরাগত বলছে তৃণমূল। এদিন পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, বহিরাগত গুণ্ডারা আসছে। তারা বাংলায় অশান্তি তৈরি করতে চাইবে। ওদের রুখে দিতে হবে। তার আগে এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে একই কথা বলেছেন রাজ্যসভায় দলের উপ দলনেতা সুখেন্দুশেখর রায়।
বিজেপির বুঝতে বাকি নেই যে তৃণমূল বিধানসভা ভোটের লড়াইকে বহিরাগত বনাম বাঙালিতে পর্যবসিত করতে চায়। অর্থাৎ বাঙালি আবেগকে পুঁজি করে ভোটে জিততে চায়। সেই কারণে পাল্টা সমালোচনায় সক্রিয় বিজেপি নেতারাও।
কী বলছেন তাঁরা? বিজেপির নেতা মুখপাত্ররা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তার জবাব দিতে চেয়েছেন। কেউ বলেছেন, প্রশান্ত কিশোর ও তার দলবল বহিরাগত নয়? বিজেপির যাঁরা বাইরের রাজ্য থেকে এসেছেন তাঁরা তবু রাজনৈতিক কর্মী, দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছেন। কিন্তু তৃণমূলের বিধায়কই বলছেন, প্রশান্ত কিশোর হল ঠিকাদার।
দলের অন্য এক মুখপাত্র বলেন, চিটফান্ড সংস্থা অ্যালকেমিস্টের মালিক কে ডি সিংহকে বাংলা থেকে রাজ্যসভার সদস্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? উনি কোথাকার লোক?
আর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আমরা এক দেশে বিশ্বাস করি। আঞ্চলিকতাবাদের সংকীর্ণ রাজনীতি বিজেপি করে না।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, রাজ্য বিজেপির সমস্যা হল, তাদের সংগঠনে গ্রহণযোগ্য বাঙালি নেতা নেই। সেই কারণেই এই সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। তবে ক’দিন আগে অবশ্য অমিত শাহ অর্থবহ ভাবে বলেছিলেন, সময় এলে চেহারা,মুখ সবই চলে আসবে।