দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদা: মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই মালদায় বিভিন্ন জনের মোবাইলে ঘুরছিল বাংলার একটি প্রশ্নপত্র। তাতেই রটে যায় প্রথমদিনই ফাঁস হয়েছে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। তবে সেই প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত না হওয়ায় তখন শুধুই উদ্বেগ ছিল। কিন্তু বেলা তিনটের সময় পরীক্ষা শেষ হলে দেখা যায় পরীক্ষার্থীদের হাতেও সেই একই তো প্রশ্নপত্র! তাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন করে আর পরীক্ষা নেওয়া হবে না। কিন্তু বিষয়টি জানিয়ে বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
এ দিন কল্যাণময়বাবু বলেন, “এ দিন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিট নাগাদ পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারির মোবাইল ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ এলে বিষয়টি জানতে পারেন তাঁরা। তখনই ঠিক করেন পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ জানানো হবে। পরে সেই অভিযোগ দায়ের হয়।”
মালদাতেই প্রথম প্রশ্নপত্রের ছবি বাইরে এসেছে বলে অভিযোগ। তবে মালদার ডিআই তাপস বিশ্বাসের পাল্টা অভিযোগ, মালদাকেই নাকি প্রতি বছর টার্গেট করা হয়। তিনি বলেন, “মালদায় এ ধরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমি খোঁজ নিয়েছি। প্রশ্ন ফাঁস হলে তা অন্য জেলা থেকে হয়েছে। এখান থেকে কিছু হয়নি।”
মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়। আজ ছিল প্রথম ভাষার প্রথম পত্রের পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর এক ঘণ্টাও গড়ায়নি তখন। মালদা জেলার বিভিন্ন জায়গায় হোয়াটসঅ্যাপে তখন ঘুরছে একটি বাংলা প্রশ্নপত্রের ছবি। রটে যায় ফাঁস হয়ে গিয়েছে বাংলার প্রশ্নপত্র। মনে করা হচ্ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর বা বৈষ্ণবনগরের কোনও স্কুল থেকে কোনও পরীক্ষার্থীর মাধ্যমে এই প্রশ্নপত্রের ছবি বাইরে এসেছে। তবে মালদার ডিআই বিষয়টি অস্বীকার করায় উৎস এখনও গভীর জলে।
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারকে বাইরে রাখা যাবে না, ওঁকে হেফাজতে নিন, সিবিআই-কে কুণাল ঘোষ
রাজীব কুমারকে বাইরে রাখা যাবে না, ওঁকে হেফাজতে নিন, সিবিআই-কে কুণাল ঘোষ