
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা বেরোতেই মুকুল রায়ের বাড়িতে মেলা বসেছে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোভিড পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এই নিউ নর্মালেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক পইপই করে বলছে, যতই ভ্যাকসিন আসুক, এখনও মাস্ক পরতে হবে, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানতে হবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে থিকথিক করছে ভিড়! শুক্রবার সন্ধে থেকে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের বাড়িতে পা রাখার জায়গা নেই।
মুকুলবাবুর ছেলে তথা বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু সল্টলেকে থাকেন না। তিনি কাঁচরাপাড়াতেই থাকেন। মাঝে মাঝে বাবার কাছে আসেন। গতকাল তাঁকে দেখা যায় প্যান্ডেলে ভিড় সামলানোর মতো করে সামাল দিতে হচ্ছে পরিস্থিতি।
মুকুলবাবুর বাড়ির বাইরে এমনিতেই সাংবাদিকরা থাকেন। গতকাল দেখা যায় অনেকেই গাড়ি নিয়ে বাড়ির সামনে এসেও দরজা খুলে আর নামেননি। ক্যামেরা দেখেই ধাঁ! যদি ছবি উঠে যায়!
কে নেই! বাচ্চু হাঁসদা থেকে মুজফফর খান, হুগলির যুব তৃণমূলনেত্রী সুমনা সরকার থেকে জটু লাহিড়ি, ডাঃ নুরুজ্জামান থেকে পারভেজ রহমান—সবাই চলে গিয়েছিলেন মুকুল রায়ের বাড়িতে। যাঁরা যেতে পারেননি তাঁরা আবার ‘মুকুলদা’কে ফোন করেছেন। যেমন সোনালি গুহ। জানা যাচ্ছে, এখনও মন্ত্রী তথা নদিয়ার নেত্রী রত্না ঘোষ করও মুকুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। ওদিকে বসিরহাটের দক্ষিণের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকেও দিদি জার্সি দেননি। শোনা যাছে তিনিও নাকি মুকুলবাবুর সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
শুধু তো যাঁরা দাবিদার ছিলেন অথচ টিকিট পাননি তাঁরা নন। কলকাতা-সহ জেলার তৃণমূলের ছোট-বড়-মাঝারি অনেক নেতার এখন একটাই ডেস্টিনেশন—মুকুল রায়ের বাড়ি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই জেলায় জেলায় ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। আরাবুলের অনুগামীদের ভাঙড়ের তাণ্ডব, বসিরহাটে তৃণমূলের বিক্ষোভ, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সদস্য বিভাস হাজরার অনুগামীদের পথ অবরোধ—টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ যখন জেলায় জেলায় দাবানলের আকার নিয়েছে তখন ওদিকে সল্টলেকে মুকুল রায়ের বাড়িতে তিল ধারনের জায়গা নেই।