
বিজেপির প্রথম তালিকাতেই সিপিএম বিধায়কের নাম, তৃণমূলকে রুখতে বামের ভোট রামে টানার বার্তা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বারবার বলছেন, বিজেপিকে হারাতে গেলে আগে তৃণমূলকে হারাতে হবে। আর শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, তৃণমূল হারলে তবেই তো গণতন্ত্র ফিরবে বাংলায়। পঞ্চায়েতে তখন বিনা বাধায় প্রার্থীও দিতে পারবেন বামেরা।
সার্বিক প্রেক্ষাপট এমনই। এবং সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শনিবার তাদের প্রথম প্রার্থী তালিকাতেই সিপিএমের বিদায়ী বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের নাম ঘোষণা করল। তাপসী প্রার্থী হবেন হলদিয়ায়।
তাপসী বাম থেকে রামের পথে হাঁটা শুরু করেছিলেন ১৯ ডিসেম্বর। সেদিন সকালে মেদিনীপুর কলেজিয়েট মাঠে অমিত শাহের সভার উদ্দেশে কোলাঘাট গেস্ট হাউস থেকে গাড়ির বিরাট লাইন রওনা দিয়েছে। তার মধ্যে ছিলেন হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডলও। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সেদিনই তিনি পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখন কৌতূহল হল, তাপসী কি খগেন হতে পারবেন?
খগেন মুর্মু। মালদহের সিপিএম বিধায়ক ছিলেন। সেই সঙ্গে পার্টির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। গোটা জেলা পার্টিকে অবাক করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। একদিন দুপুরে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর মিটিং করেন। তারপর কৃষক সভার অফিসে গিয়ে ভাত খেয়ে ট্রেন ধরেন কলকাতার উদ্দেশে। শিয়ালদহে নেমে সোজা বিজেপি অফিস। সেই খগেনকে লোকসভায় বিজেপি মালদহ উত্তর আসনে প্রার্থী করেছিল। এবং তিনি জিতে সাংসদ হয়েছেন। তাপসী কি পারবেন?
খগেনবাবুর যেমন সাংগঠনিক দক্ষতা রয়েছে তাপসীর ক্ষেত্রে তা নেই। কিন্তু তাপসীর জন্য অন্য একটি বিষয় রয়েছে যা তাঁর চাবিকাঠি হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তা হল শুভেন্দু অধিকারীর নাম। শুভেন্দু নিজে হলদিয়ার ভোটার। হলদি নদীর এক দিকে হলদিয়া অন্য দিকে নন্দীগ্রাম। অর্থাৎ একদিকে তিনি প্রার্থী এবং অন্য দিকে ভোটার। অনেকের মতে যেহেতু শুভেন্দুই তাপসীকে গেরুয়া শিবিরে শামিল করিয়েছিলেন তাই তাঁর বাড়তি দায়িত্ব থাকবে দুর্গাচক থেকে তাপসীকে বিধানসভায় পৌঁছে দেওয়ার।
হলদিয়ায় এবার সিপিএম প্রার্থী করেছে মণিকা কর পাইককে। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন স্বপন নস্কর। এখন দেখার হলদিয়া থেকে দ্বিতীয়বার বিধায়ক হন কিনা তাপসী। হয়ে উঠতে পারেন কিনা খগেন মুর্মু।