
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল এই দেশেই। বিশ্বে এই ভাইরাসের সংক্রমণকে ছড়ানোর জন্য এই দেশকেই দায়ী করা হয়। আর সেদেশই কিনা অন্য দেশকে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী করছে। চিন সম্প্রতি দাবি করেছে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা চিকেনে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্কও করেছে তারা।
জানা গিয়েছে, চিনের শেনঝেন শহরে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা প্যাকেটজাত চিকেন পরীক্ষা করতে গিয়ে সেখানে করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তারপরেই স্থানীয় প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে সেটা জানানো হয়েছে। এর আগে নাকি চিনের অন্যান্য কিছু শহরেও আমদানি করা প্যাকেটজাত সামুদ্রিক মাছে কোভিড ১৯ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেসব ক্ষেত্রে ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল প্যাকেটের গায়ে। এক্ষেত্রে ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে মাংসের মধ্যে। ওই প্যাকেটের রেজিস্ট্রেশন নম্বর থেকে নাকি জানা গিয়েছে তা ব্রাজলের সান্টা ক্যাটারিনার অরোরা এলিমেন্টোস নামের একটি কারখানা থেকে এসেছে।
চিনা প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই মাংস যাঁরা কিনেছেন বা খেয়েছেন তাঁদের সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবার টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে আমদানি করা প্যাকেটজাত মাংস কেনার সময় যেন সাবধানতা অবলম্বন করেন সবাই।
জানা গিয়েছে, চিনের উত্তর অংশে শেনডং প্রদেশে ইয়ান্টাইয়ে বিদেশ থেকে আসা সামুদ্রিক মাছের তিনটে প্যাকেজিং স্যাম্পলেও করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তরফে একথা জানানো হয়েছে। টেলিভিশনে জানানো হয়েছে, চিনের আনহুই প্রদেশে উহু শহরে ইকুয়েডর থেকে আসা প্যাকেটজাত খাবারেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রথম করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল চিনের উহান প্রদেশে। তারপর প্রথমে চিনেই এর প্রকোপ বাড়িতে থাকে। ধীরে ধীরে তা চিন ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। চিনে এই সংক্রমণ প্রায় থেমে গিয়েছে বলে সেদেশের তরফে দাবি করা হলেও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এই সংক্রমণ বাড়ছে। আর এই কোভিড সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশ বারবার চিনকেই দায়ী করেছে। যদিও চিনের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এবার ভাইরাস ছড়ানোর জন্য উলটে লাতিন আমেরিকা থেকে আসা প্যাকেটজাত মাংসকে দায়ী করল চিন।