
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাঝেমধ্যেই আলটপকা কথা বলে খবরের শিরোনামে আসেন তিনি। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে বার বার সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। নিজে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও কোনও হেলদোল নেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর। তাই এবার কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে কটাক্ষ করলেন তিনি। বিশেষ করে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার সমালোচনা করেছেন তিনি। বলসোনারোর যুক্তি, এই টিকা মানুষকে কুমির বানাতে পারে কিংবা মেয়েদের দাড়ি গজাতে পারে।
প্রথম থেকেই করোনাভাইরাসকে সাধারণ ফ্লু-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন বলসোনারো। নিজে আক্রান্ত হওয়ার পরেও তাঁর সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি। আর তাই কোভিড টিকা ঘিরেও একই রকমের চিন্তাভাবনা তাঁর। বলসোনারো সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “ফাইজারের টিকা নিলে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য আমরা দায়ী থাকব না। এই টিকা আপনাকে কুমির বানিয়ে দিতে পারে। সেটা আপনার সমস্যা।”
বলসোনারো আরও বলেন, “যদি আপনি সুপারহিউম্যান হয়ে ওঠেন, যদি কোনও মহিলার দাড়ি গজায় কিংবা কোনও পুরুষ মেয়েদের মতো গলায় কথা বলা শুরু করে তাহলে ড্রাগ কোম্পানির কিন্তু কিছু যায় আসবে না।”
ব্রাজিলে অনেক দিন ধরেই ফাইজারের টিকার ট্রায়াল চলছে। ইতিমধ্যেই আমেরিকা ও ব্রিটেনে এই টিকাকে অনুমতিও দেওয়া হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করার জন্য। ব্রাজিলেও এই টিকাকরণ শুরু হলে তা বিনামূল্যে হবে কিন্তু বাধ্যতামূলক হবে না বলেই জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
ব্রাজিলে করোনা আক্রান্তে সংখ্যা ৭১ লাখের বেশি। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষের। টিকা বেরলেও বলসোনারো তা নেবেন না বলেই জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “যারা চাইবেন সবাই টিকা নিতে পারেন। কিন্তু আমি টিকা নেব না। কিছু মানুষ বলবেন আমি খারাপ উদাহরণ তৈরি করছি। কিন্তু আমি তাদের বলতে চাই আমি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছি। তার মানে আমার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাই আমি কেন টিকা নেব?”
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিয়েছে, এই ভ্যাকসিন মানুষের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ যাঁরা চাইবেন তাঁরা টিকা নেবেন, যাঁরা চাইবেন না তাঁরা নেবেন না। যাঁরা টিকা নেবেন না, তাঁদের প্রশাসন চাইলে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে, কিন্তু তাঁদের টিকা নেওয়ার জন্য জোর করতে পারে না।