
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনিই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যাঁর বিরুদ্ধে দু’বার ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব এসেছে। আমেরিকার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার অভিযোগ তুলে দ্বিতীয়বার ইমপিচমেন্ট করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। পাঁচদিন ধরে চলা এই শুনানির শেষে ট্রাম্পকে নির্দোষ বলল মার্কিন সেনেট। শনিবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে হওয়া এই শুনানিতে সেনেটের বেশিরভাগ রিপাবলিকান সদস্যই ট্রাম্পকে শাস্তি দেওয়ার বিপক্ষে নিজেদের মত দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ ছিল নভেম্বর মাসে নির্বাচনে নিজের হার নিশ্চিত জানার পরে ঝামেলা পাকানো ও নির্বাচন ভন্ডুল করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিজের সমর্থকদের উস্কেছেনে ট্রাম্প। তার ফলেই ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, জো বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থেকেও নিয়ম ভেঙেছেন তিনি।
শুনানির শেষে ভোটাভুটিতে নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত। তাতে দেখা যায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ৫৭টি। তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৩টি। বিপক্ষে ভোট বেশি পড়লেও সেনেটের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬৭টি ভোট না পড়লে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। তাই বেঁচে গিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এই শুনানিতে অংশ নেওয়া ৭ রিপাবলিকান প্রতিনিধি আবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, যে ঘটনা ঘটেছে তার দায় ট্রাম্পের উপরেই বর্তায়। তাই ন্যায়ের সঙ্গ দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সেনেটের দুই-তৃতীয়াংশের নিয়মেই বেঁচে গেলেন ট্রাম্প। নতুবা কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হত তাঁকে।
এর আগে ২০১৯ সালে একবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব এসেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সেবারও ভোটাভুটিতে বেঁচে যান ট্রাম্প। এবারও তাই হল।