
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত নয় পড়শি দেশ ইসলামাবাদও। বরং পরিস্থিতি সেখানে এমনই যে সংক্রমণ ঠিক কতটা ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট অনুমানও করতে পারছে না প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে ভারতীয় সময়ের ১০ টা নাগাদ জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় ইমরান বলেন, করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় আমেরিকা বা উন্নত দেশগুলি যে পরিমাণ অর্থ খরচ করছে তেমন সাধ্য ও সংস্থান ইসলামাবাদের নেই। কিন্তু ইসলামাবাদের যা রয়েছে আবার অনেকেরই নেই। তা হল, ইমান অর্থাৎ স্বাভিমান ও যুবশক্তি। এবং করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় এই দুই শক্তিকেই কাজে লাগাতে চায় তাঁর সরকার। সেই জন্যই ঘোষণা করা হচ্ছে টাইগার ফোর্স।
কারা থাকবে সেই বাহিনীতে?
ইমরান বলেন, এটা কোনও সামরিক বাহিনীর অংশ নয়। বরং স্বেচ্ছায় যাঁরা দেশের সেবা করতে চান এই বাহিনীতে তাঁরা যোগ দিতে পারেন। সরকার ও সামরিক বাহিনীর পরামর্শমতো তাঁরা কাজ করবেন। কোনও প্রদেশে লক ডাউন ঘোষণা করা হলে এরাই গরিব ও প্রান্তিক মানুষের কাছে রেশন ও ওষুধ পৌঁছে দেবেন। সেই সঙ্গে মানুষকে বোঝাবেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা কেন জরুরি। ইমরান বলেন, অল্পবয়সী ডাক্তার, নার্স, ইঞ্জিনিয়ার, ছাত্র সবাই এই বাহিনীতে যোগ দিতে পারেন।
এদিন বক্তৃতার সময় ইমরান বারবার ইসলামিক আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। বলেন, ইসলামের দর্শনই হল গরিবের সেবা করা। সেই সঙ্গে ইমানদারির সঙ্গে জীবনযাপন করা। যাঁরা এই দুর্দিনের সুযোগ নিয়ে খাবার মজুতদারি করবেন, যাঁদের কারণে গরিব মানুষের খাবারের সঙ্কট হতে পারে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলও ঘোষণা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, এই তহবিলে কেউ অর্থ দান করলে সরকার জানতেও চাইবে না সেই উপার্জনের উৎস কী। তা ছাড়া কর ছাড়ের সুবিধাও পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি হিসাবে সোমবার রাত দশটা পর্যন্ত পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯০ জন। এঁদের মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।