
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা সংক্রমণের মাঝে বিমানে চড়তে ভয় পাচ্ছিলেন ৩৬ বছরের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক আদিত্য সিং। আর সেই কারণে প্রায় তিন মাস শিকাগো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই লুকিয়ে ছিলেন তিনি। এতদিন কেউ টের পায়নি তা। আর টের পাওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে।
শিকাগো ট্রিবিউন সূত্রে খবর, লস এঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা শিকাগোর ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় গত ১৯ অক্টোবর থেকে লুকিয়ে ছিলেন বলে খবর। সংরক্ষিত এলাকায় বেআইনিভাবে থাকা ও চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আদালতে জানানো হয়েছে, ১৯ অক্টোবর লস এঞ্জেলস থেকে ও’হেয়ার বিমানবন্দরে এসে সবার অজান্তে সংরক্ষিত এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন আদিত্য। সম্প্রতি ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের দু’জন কর্মী তাঁকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। সেই সময় একটি ব্যাজ দেখান আদিত্য। কিন্তু সেটি বিমানবন্দরের একটি কার্যকরী ম্যানেজারের ব্যাজ বলে জানা গিয়েছে। অক্টোবর মাসে ওই কর্মী ব্যাজ খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করেন।
আদিত্যর পরিচয় জানতে পেরেই ৯১১ নম্বরে ফোন করেন ওই দুই বিমানকর্মী। তারপরেই এফ১২ গেটের ২ নম্বর টার্মিনালের কাছ থেকে আদিত্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যান্য যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া খাবার খেয়েই এতদিন বেঁচে ছিলেন আদিত্য। এই ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছেন বিচারকও।
লস এঞ্জেলসে নিজের রুমমেটদের সঙ্গে থাকতেন আদিত্য। তাঁর কোনও ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই বলেই জানা গিয়েছে। তাঁর কাছে মাস্টার্স ডিগ্রিও রয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে বেকার ছিলেন আদিত্য। বিমানবন্দরে থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে হিংসার কোনও অভিযোগ করা হয়নি।
জরিমানা হিসেবে ১০০০ ডলার দিলে অবশ্য কোনও বিমানবন্দরে ঢোকার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না। ২৭ জানুয়ারির মধ্যে এই জরিমানা দিতে না পারলে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। শিকাগো ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাভিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, “এখনও এই ঘটনা তদন্তের অধীনে রয়েছে। তাই আমরা এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে পারব না। তবে ওই যুবকের বিরুদ্ধে কোনও হিংসার অভিযোগ নেই, সেটা বলা যায়।”