
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বের একাধিক দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীরা এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের মন থেকে যাতে ভ্যাকসিন সম্পর্কিত ভয় দূর হয় তার জন্যই এই পদক্ষেপ তাঁরা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। সেই একই কাজ করতে চান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু প্রধান টেড্রস আধানম। তিনি জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে বিশ্বাস জাগাতে ও মনের জোর বাড়াতে তিনিও কোভিড ভ্যাকসিন নিতে তৈরি।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বারাক ওবামা, জর্জ ডাব্লু বুশ ও বিল ক্লিন্টনের মতো প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা সেখানে তৈরি কোভিড ভ্যাকসিন নেবেন। এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন টেড্রস। শুক্রবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এটা খুবই ভাল পদক্ষেপ। আমি মনে করি তাঁরা ইতিমধ্যেই যে দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন সেটা খুবই ভাল। তাঁরা অন্যদের প্রভাবিত করতে পারবেন। কারণ তাঁদের প্রভাব অন্যদের মধ্যে অনেক বেশি।”
তারপরেই হু প্রধানকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি নিজেও কি এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে চান। তার জবাবে তিনি বলেন, “এই একই কাজ করতে পারলে আমি খুবই খুশি হব। আমি সত্যিই খুব খুশি হব।”
যদিও তারপরেই তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান হওয়ার জন্য আগ বাড়িয়ে সবার আগে তিনি টিকা নেবেন না। কারণ এই সংস্থার একটা নিয়ম রয়েছে। তা হল সবার মধ্যে সমানভাবে টিকা বন্টন করা। আধানম বলেন, “আমি নিশ্চিত করব কখন আমার সময় এসেছে। আমি অন্য কারও ভ্যাকসিন নিতে চাই না। কারণ আমার থেকেও ভ্যাকসিনের প্রয়োজন অন্য কারও বেশি অনেক বেশি থাকতে পারে।”
গত বুধবার পাশ্চাত্যের প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেন ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেকের এই ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য অনেক দেশও সেই পথেই এগোচ্ছে। কিন্তু এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল তথ্য গেলে তার প্রভাব খারাপ হতে পারে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে। তাই ১০০ শতাংশ নিশ্চিত না হওয়ার আগে এই ভ্যাকসিন দিতে নিষেধ করছেন তাঁরা।