
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত মাসের ৩ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল ভোট গণনা। দু’দিনের মধ্যেই অবশ্য জানা গিয়েছিল আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। যদিও সরকারিভাবে ঘোষণা হতে অনেকটা সময় লেগে গেল। রিপাবলিক প্রার্থী তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত অভিযোগ সত্ত্বেও অবশেষে সোমবার বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করল ইলেকটোরাল কলেজ। আর তারপরেই আমেরিকাবাসীর উদ্দেশে ঐক্যের বার্তা দিলেন বাইডেন।
সোমবার নিজের শহর ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনে এক জনসভা থেকে বাইডেন বলেন, “গণতন্ত্র জয়ী হল। আমরা ভোট দিয়েছিলাম। আমাদের নির্বাচনের সততা রক্ষা হল। এবার আমাদের পাতা ওল্টানোর প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের এক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমি সব আমেরিকাবাসীর প্রেসিডেন্ট।”
এর আগেও অবশ্য বাইডেনের গলায় এই সুর শোনা গিয়েছে। ভোট গণনা শুরু হওয়ার পরে যখন বোঝা যাচ্ছে বাইডেনের জয় প্রায় নিশ্চিত, তখনও তিনি বলেছেন, তিনি ট্রাম্পের সমর্থকদেরও প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার উন্নতির জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তখনও ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এক হওয়ার আবেদন করেছিলেন তিনি। সেই একই আবেদন ফের করতে দেখা গেল বাইডেনকে।
নির্বাচনের আগে থেকেই বাইডেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোট গণনা শুরু হতেই সেই অভিযোগ আরও বেড়ে যায়। ভোটে কারচুপি করা, ভোট চুরি করার অভিযোগ তোলেন তিনি। একাধিক প্রদেশে নতুন করে গণনার দাবি জানাতে থাকেন। তার ফলে কিছু প্রদেশে দ্বিতীয়বার গণনা করতেও হয়েছে। কিন্তু তাতে বাইডেনের জয় আটকায়নি। ক্যালিফর্নিয়াতে ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ২৭০-এর গণ্ডি পেরিয়ে যান বাইডেন। ফলে আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হলেন বারাক ওবামার সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা বাইডেন। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নিজের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
অবশ্য এই ভোট গণনা থামানোর জন্য বারবার একের পর এক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ট্রাম্প পন্থীরা। কিন্তু সব জায়গাতেই তাঁদের আবেদন খারিজ হয়েছে। অবশেষে গত শুক্রবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দেয়, তাদের কোনও আবেদন শোনা হবে না। তারপরে এক প্রকার বাধ্য হয়ে হার স্বীকার করে নিতে হয় ট্রাম্পকে।