
দ্য ওয়াল ব্যুরো : রাত ন’টা থেকে ভোর পাঁচটা। প্রতিদিন এই আট ঘণ্টা কার্ফু জারি থাকবে পাঞ্জাবে। এর আগে রাজ্যের ১২ টি জেলায় নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে সংক্রমণ না কমায় বুধবার পুরো রাজ্যেই জারি হল নাইট কার্ফু। একইসঙ্গে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, সব ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা খেলাধুলো উপলক্ষে জমায়েত বন্ধ থাকবে। বিয়েবাড়ি বা পারলৌকিক ক্রিয়া উপলক্ষেও বেশি লোক জড়ো হতে পারবেন না। ইনডোর ফাংশানে সর্বাধিক ৫০ জন ও আউটডোর ফাংশানে ১০০ জন জড়ো হতে পারবেন। মাস্ক ছাড়া কোনও সরকারি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
এর আগেই পাঞ্জাব সরকার ঘোষণা করে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। সিনেমা হলে মোট যত দর্শকের বসার আসন আছে, তার ৫০ শতাংশকে ঢুকতে দেওয়া যাবে। শপিং মলের কোনও দোকানে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ঢুকতে পারবেন না।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং সম্প্রতি রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, পাঞ্জাবে আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫ শতাংশের দেহে ইউকে স্ট্রন পাওয়া গিয়েছে। ওই স্ট্রেন আরও ছোঁয়াচে ও বিপজ্জনক। শিরোমণি অকালি দল ও আম আদমি পার্টি এই পরিস্থিতিতেও যেভাবে রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ওই দুই দলের নেতাদের সতর্ক করে দেন।
গত ১৪ দিনে সারা দেশে যতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ৪.৫ শতাংশ পাঞ্জাবের বাসিন্দা। ওই সময় সারা দেশে মৃতদের ১৬.৩ শতাংশ পাঞ্জাবের মানুষ।
গত সোমবার দেশে প্রথমবার এক লক্ষের বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হন। অতিমহামারীতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে রোজ প্রায় ৫০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৮ জন।
উদ্বেগের বিষয় হল, মহারাষ্ট্রে প্রায় ফুরিয়ে এসেছে ভ্যাকসিনের স্টক। করোনা মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রে জারি হয়েছে ‘মিনি লকডাউন’। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা রাজ্য সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, তাঁরা আর ৪৮ ঘণ্টা পর থেকেই দোকান খুলবেন।
ইতিমধ্যে করোনা ঠেকাতে দিল্লিতে জারি হয়েছে নাইট কার্ফু। সেখানে রোজ রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কার্ফু বজায় থাকবে। চলতি মাস জুড়ে অর্থাৎ, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই বিধি কার্যকর থাকবে বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে।