
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বিহারের তারাপুর বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন জেডি ইউয়ের নেতা মেওয়ালাল চৌধুরি। রাজ্যে চতুর্থবারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁকে দিয়েছিলেন শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব। কিন্তু তেজস্বী যাদবের আরজেডি তিন বছরের পুরানো এক দুর্নীতির মামলা নিয়ে সরব হল তাঁর বিরুদ্ধে। বাধ্য হয়ে ১৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন মেওয়ালাল।
২০১৭ সালে অভিযোগ ওঠে, মেওয়ালাল ভাগলপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং জুনিয়ার সায়েন্টিস্ট নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল। মেওয়ালাল নিজে সেই দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। তখন জেডি ইউ ছিল বিজেপির বিরোধী। বর্তমানে নীতীশ সরকারের প্রধান শরিক বিজেপি সেদিন মেওয়ালালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। জেডি ইউ তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল। পরে অবশ্য সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয়।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তখন বিহারের রাজ্যপাল ছিলেন। তিনি মেওয়ালালের বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমতি দেন। সেই তদন্ত এখনও চলছে। যদিও কোনও চার্জশিট দেওয়া হয়নি।
শোনা যায়, ভোটে প্রার্থী হওয়ার সময় মেওয়ালাল যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, তাতে নাকি নিজেই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছেন। এসম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি কখনই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কিছু লিখিনি। কোর্টে একটা মামলা আছে। কিন্তু তার চার্জশিট পর্যন্ত হয়নি। তদন্ত চলছে।”
মেওয়ালালের বক্তব্য, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা মানে এই নয় যে, সে অপরাধী। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সমালোচনা করে মেওয়ালাল বলেন, তিনি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা তাঁকে শোভা পায় না। অনেক বিধায়কের নামেই মামলা আছে। একটি সূত্রে শোনা যায়, ২০১৭ সালে তাঁর ভাইপো গ্রেফতার হয়েছিলেন। একথা উড়িয়ে দেন মেওয়ালাল।
তেজস্বী যাদব বেশ কয়েকটি টুইট করে অভিযোগ তুলেছেন, নীতীশ কুমার কয়েকজন অপরাধীকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “সরকার ক্রিমিনালদের রক্ষা করছে। মেওয়ালাল চৌধুরি ডাকাতিতে অভিযুক্ত। গদি বাঁচানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী অপরাধ, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতায় মদত দিয়ে চলেছেন।” আরজেডি নেতার অভিযোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ এবার মন্ত্রী হননি।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবও বিজেপির সমালোচনা করে বলেছেন, একসময় যাঁরা মেওয়ালাল চৌধুরির শাস্তি দাবি করছিলেন, তাঁরা এখন চুপ করে আছেন। তেজস্বী বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ১০ লক্ষ চাকরি দেবেন। কিন্তু নতুন সরকার মেওয়ালালের মতো লোককে মন্ত্রী করে বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা কীসের ওপরে জোর দিতে চায়।